ডেস্ক: কিছুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দেশের প্রায় বেশিরভাগ এটিএম বন্ধ হতে চলেছে। এখন দেশে মোট ২ লক্ষ ৩৮ হাজার এটিএম রয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগই এখন বন্ধের মুখে রয়েছে। বন্ধের কারণ হিসেবে হিসেবে বলা হয়েছিল এটিএমে আনা হবে এক নতুন প্রক্রিয়া, আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই মানুষ আবার নতুন টাকা তুলতে পারবে। তবে এটিএম বন্ধের খবর প্রকশ্যে আসতে না আসতেই মানুষের মনে ভয় ঢুকে গিয়েছিল। কারণ এটিএম শুধু শহরেই নয়, গ্রামেও রয়েছে। এটিএম বন্ধ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনার মতো অভিনব প্রকল্পগুলি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। তাই সেই প্রকল্প এবং মানুষের ভয়কে দূর করার জন্য আরবিআই তরফে এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ১.৩ লক্ষ এটিএম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রয়েছে CATMi সংস্থা। এই সংস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়া এটিএম গুলিকে নিজেদের অধীনে নিয়ে নিবে। এটিএম টিয়ার বেশিরভাগ গ্রামের দিকে রয়েছে। সেগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়াতে গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে ৩০ শতাংশ। CATMi অর্থাৎ কনফিডারেশন অফ এটিএম ইন্ড্রাস্টি জানিয়েছে যেহেতু গ্রামের দিকে বেশিরভাগ এটিএম গুলিতে টিয়ার রয়েছে আর তা রক্ষণাবেক্ষণও হয়, কিন্তু এখানের এটিএমে টিয়ার নেই তাই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশি টাকা বহন করতে হবে। আর এই বিপুল অঙ্কের টাকা যদি ব্যাঙ্ক এটিএম সংস্থার সঙ্গে ভাগ না করে তাহলে দেশের প্রায়ই এটিএম চিরকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে কমপক্ষে ১০০ কোটির টাকার নেট বার্থ ও ৩০০ গাড়ি লাগবে। সেই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি এবং পরিকাঠামোও দরকার, ফলে এটিএমএ যখন গ্রাহক টাকা তুলতে যাবে তখন যেন কোনও সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয়। তাছাড়াও টাকা লুঠের হাত থেকে রেহাই পেতে উন্নত পরিকাঠামোর দরকার। ফলে অর্থনীতিতে আসতে পারে বড় রকমের বদল। এমনকি যারা এতদিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর জনধন যোজনার আওতায় রয়েছেন তাদেরও সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।