মহানগর ওয়েবডেস্ক: বিজেপির কাছে কী এমন যাদুকাঠি রয়েছে? যেই পদ্ম শিবিরে নাম লেখায় তাদেরই সম্পত্তি ফুলে-ফেঁপে ওঠে। প্রকাশ্যে কেউ এই প্রশ্ন না তুললেও ইতিউতি অনেক বিরোধী শিবিরের রাজনীতিকরাই এখন এটাই ভাবছেন। কেননা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে যদি কোনও বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮৫ কোটি বাড়তে পারে, তবে নিশ্চিতভাবে জয় শাহর ব্যবসায়িক মুনাফা বৃদ্ধিতেও অবাক হওয়ার কিছুই নেই।
২০১৮ সালে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ছিল নাটকে নাটকে ভরপুর। কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকার সেখানে দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। সৌজন্যে ছিলেন অমিত শাহ। ঘোড়া কেনা-বেচায় তিনি এতটাই সিদ্ধহস্ত যে বিরোধী সরকারকে হাল্কা চিড় থাকলে বিধায়ক কিনে সেটাকে ফাটল বানিয়ে দিতে পারেন তিনি। কংগ্রেস-জেডিএসের তরফে বহুবার অভিযোগ করা হয়েছিল যে বিধায়কদের ৫০ কোটির টোপ দিচ্ছে বিজেপি। সেই অভিযোগ যে একেবারেই অমূলক ছিল না তা কার্যত প্রমাণ হতে বসেছে।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ দিয়েছে, কর্ণাটকের কংগ্রেস-জেডিএস থেকে বহিষ্কৃত ১৭ জন বিধায়ক পুনরায় নির্বাচন লড়তে পারবেন। আর এই সিদ্ধান্ত আসার পরই ভোট লড়তে হলফনামা জমা দিতে হয়েছে বিধায়কদের। সেখানেই দেখা গিয়েছে, মাত্র ১৮ মাসে ১৮৫.৭ কোটি টাকা সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে কর্ণাটকের সবথেকে বিত্তবান বিধায়ক এমটিবি নাগরাজের। আসন্ন সময় হসকোটে বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন তিনি। বলাই বাহুল্য, নিজের নামে না রেখে স্ত্রীয়ের নামে বেশিরভাগ সম্পত্তি রেখেছেন তিনি। তবে লক্ষণীয় বিষয় হল, এই সম্পত্তি বৃদ্ধি আচমকাই চলতি বছর ২ থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে হয়েছে। যেখানে এই পাঁচ দিনের মধ্যে ৪৮ কোটি টাকা ঢুকেছে তাঁর বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে।
এই ১৮ মাসে নাগরাজের সম্পত্তি বৃদ্ধির শতকরা হার হল ২৫.৮৪ শতাংশ। সূত্রের খবর, ২ থেকে ৭ অগাস্টের মধ্যে তাঁর ক্যানারা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৫৩টি লেনদেনের মাধ্যমে এই ৪৮ কোটি টাকা ঢুকেছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ লেনদের পরিমাণই ৯০ লাখ টাকার বেশি। এই খতিয়ান দেখার পর বিরোধীদের প্রশ্ন, এটাই কি দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদীজির সার্জিক্যাল স্ট্রাইক?