Highlights
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: চিনের পর করোনায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ইতালির। একদিনে সেখানে মৃত্যু হয়েছে ৪৭৫ জনের, যা এক রেকর্ড। এমনকি চিনেও একদিনে এত লোকের মৃত্যু হয়নি। আর এর ফলে সেই দেশে নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল মোট ২,৯৭৮ জনের।
গত বৃহস্পতিবার ইতালি সরকার জানিয়েছিল কোভিড-১৯ রোগে সেদেশে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। তারপর এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই সংখ্যা প্রায় তিনগুণ হয়ে গিয়েছে। ইতালিতে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫, ৭১৩। শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪,২০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতালিতে করোনার প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেশের লম্বার্ডি অঞ্চলে। সেখানে একদিনে ৩১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এই করোনায় মৃত্যু মিছিল সামাল দিতে একেবারেই ব্যর্থ প্রশাসন। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গোটা দেশ লক ডাউন করে দেওয়া হলেও প্রাদুর্ভাব কমছে না। প্রায় সব মানুষ গৃহবন্দি থাকার পরেও ইতালিতে এত মৃত্যুর পিছনে কারণ হিসেবে হু দাবি করেছে, সেই দেশে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর গোটা দেশ লক ডাউন হওয়ার আগেই এই ভাইরাস সেখানে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই কারণেই ইতালিতে এত হাহাকার।
অন্যদিকে, স্পেনে এখনও পর্যন্ত ৬৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে শেষ ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ফ্রান্সে নতুন ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৪০ জন। জার্মানিতে শেষ একদিনে ২৯৬০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আমেরিকাতেও এই ভাইরাস নিজের প্রভাব ক্রমশ বিস্তার করছে। সেখানে শেষ একদিনে ২৮৪৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯২৫৯। এদের মধ্যে সেদেশের দুজন সাংসদও রয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমেরিকা সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে কানাডা।