ডেস্ক: এক্সিট পোলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের অনুমান ছিল রাজস্থানে ঝড় উঠবে সবুজের। সেই ট্রেন্ড বজায় রাখছে ব্যালট বক্স। সকাল থেকেই ব্যালট বক্স খুলতেই এগিয়ে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ৯২ আসনে এগিয়ে গিয়েছে মরু রাজ্যে। বিজেপি পেয়েছে ৮২ আসন। কার্যত মানুষের ক্ষোভ ও বসুন্ধরা রাজের অহঙ্কার এই খারাপ ফলের কারণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, রাজস্থানে মুখ্য ভূমিকা নিতে পারে অন্যান্য দলের প্রার্থীরা। কিন্তু কী হয় সেটা এদিন বিকেলের মধ্যেই জানা যাবে পরিস্কারভাবে। অপরদিকে মরুরাজ্যে দুই প্রধানমুখ অশোক গেহলট ও সচিন পাইলট এগিয়ে আছে ভোটের নিরিখে। গতবছরে ঠিক এই দিনে এই সময়ে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে বসেছিলেন রাহুল গান্ধী। এই পদে আসিন হওয়ার পরেই ময়দানে জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছিলেন রাহুল। তাঁর প্রথম লক্ষ্য ছিল রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভোটের বাদ্যি বাজতেই রাজস্থানে প্রচারে আদা জল খেয়ে নেমেছিলেন রাহুল গান্ধী।
মরু রাজ্যে তাঁর দাবিদার ছিলেন দুই হেভিওয়েট নেতা। একজন হলেন অশোক গেহলট অপরজন হলেন সচিন পাইলট। এই দুজনের কাঁধে ভর করেই কার্যত রাজস্থানে হাত শিবির ছুটেছে বুলেটের গতিতে। এদিন ভোটের রেজাল্ট আউটের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে সচিন পাইলট জানিয়েছেন, ”রাহুল গান্ধী গতবছরে ঠিক এইদিন কংগ্রেসের সভাপতি পদে বসেছিলেন। তাই রাজস্থানের জয় তাঁর কাছে উপহার হিসাবে আমরা তুলে দিতে চাই। ট্রেন্ড বলে দিচ্ছে রাজস্থানে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। তবে আমরা এখন অপেক্ষায় আছি। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রীত্ব নিয়ে মুখ খুলতে চাই না। সেটা কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে”।