ডেস্ক: বিগত ৭২ ঘণ্টা ধরে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত’র দলবদলের জল্পনা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মুকুল রায়ের লুচি আলুরদম খেতে যাওয়ার ঘটনার পর থেকেই যে ফিসফাস তীব্র আকার ধারন করেছে। এমন খবরও উঠে আসে যে তিনি নাকি বারাসত লোকসভা আসন থেকে বিজেপি টিকিটে কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন। শনিবার উত্তর ২৪ পরগণা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে তাঁর অনুপস্থিতি আরও বাড়ায় জল্পনা। এরপরই তৃণমূল সূত্র থেকে খবর উঠে আসতে থাকে, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে সব্যসাচীর বিরুদ্ধে।
পরিস্থিত প্রতিকূলে বুঝতে পেরেই নাকি এদিন সকালে তৃণমূল সুপ্রিমোর সাক্ষাৎ পেতে কালীঘাট ছোটেন সব্যসাচী। সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দোলা সেনও ছিলেন বলে খবর। তবে দেখা দেননি মমতা। বেগতিক দেখে ফের নিজের তৃণমূলে থাকার দাবি আরও জোরালো ভাবে পেশ করেন সব্যসাচী। সংবাদ মাধ্যমকে এদিন সল্টলেকের মেয়র জানিয়েছেন, তৃণমূল ছাড়ছেন না তিনি। ‘আমি তৃণমূলেই থাকব।’ বলেন সব্যসাচীবাবু। ‘মুকুল ফোন করে নিজেই আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওঁর সঙ্গে যে সংবাদ মাধ্যমও চলে আসবে বুঝতে পারিনি। আমার স্ত্রী’র সঙ্গে তো ওঁর সুসুম্পর্ক। আমি তৃণমূলেই আছি। এটা মুকুলের প্ল্যানিং ছিল।’ পাশাপাশি তিনি স্বীকার করে নেন, মুকুলের সঙ্গে কথা বলা ভুল হয়েছিল তাঁর।
বিধাননগরের মেয়রের পাশে দাঁড়িয়ে দলবদলের সম্ভাবনায় জল ঢেলে দেন কলকাতার মেয়রও। ফিরহাদ হাকিম বলেন, আগে থেকে সম্পর্ক থাকার কারণে মুকুলকে ফিরিয়ে দিতে পারেনি সব্যসাচী। ও বুঝতে পারেনি মুকুল রায় তাঁর বাড়িতে খেয়ে গিয়ে সংবাদ মাধ্যমে দলবদলের জঙ্গলনা বাড়াবে। মুকুল রায় নিজেও অবশ্য রাজনীতি সম্পর্কিত কোনও আলোচনার কথা স্বীকার করেননি। কিন্তু মুকুলের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত সব্যসাচীর বাড়িতে মুকুলের যাওয়ায় সংবাদ মাধ্যমে জল্পনা বৃদ্ধি পেয়েছিল বৈকি। যাতে আপাতত জল পড়ে গেল মনে করা হচ্ছে।