মহানগর ডেস্ক: রাম মন্দিরের চূড়ান্ত বৃহস্পতি বার প্রকাশ করা সম্ভব হয় নি পাঁচ ঘন্টা বৈঠকের পরেও। ফৈজাবাদ সার্কিট হাউসে বৈঠকটির সভাপতিত্ব করেন, মন্দির নির্মান কমিটির সভাপতি নৃপেন্দ্র মিশ্র। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দেশের স্বনামধন্য ইঞ্জিনিয়ররা।
চূড়ান্ত নকশা টি প্রকাশ করা হতে পারে শুক্র বার যখন , লার্সেন এন্ড টুবরো, টাটা গ্রুপের ইঞ্জিনিয়ররা এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা আসবেন। সরযূ নদীর গতিপথের ওপরে একটি প্রাচীর নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মন্দিরের নকশায় যাতে নদীটির দ্বারা মন্দিরের কোনো ক্ষতি না হয়। বর্তমানে নদীটি রাম জন্মভূমির ওপর দিয়েই প্রবাহিত। মন্দির নির্মাণ ট্রাস্টির একজন সদস্য বলেন “নকসা তে সরযূ নদীর গতিপথের পরিবর্তন এর জন্য কোনো ব্যবস্থা করতেই হবে। না হলে তা মন্দিরের ক্ষতি করে দেবে।”
মন্দিরের নির্মাণ কার্য গত বছরের শেষ দিক থেকেই বিঘ্নিত হচ্ছে। আগে নরম মাটিতে প্রথম স্তম্ভ স্থাপিত হয়েছিল কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হয়নি।
সূত্র মারফত জানা গেছে, বিশেষজ্ঞ কমিটি হয়ত মন্দির রক্ষার জন্য নির্মিত প্রাচীরে পুরনো সিমেনট এবং কংক্রিট ব্যবহারে সম্মত হবেন না। যদিও মন্দির নির্মাণ কমিটি লোহা ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছে।
‘জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’ এর কোষাধ্যক্ষ গোবিন্দ দেব গিরি জানান, মন্দিরের চূড়ান্ত নকশা এখনো পর্যন্ত ঠিক হয়নি। “আমরা শুক্রবার এই বিষয়ে আবার বৈঠকে বসব।” তিনি বলেন।
ট্রাস্ট জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই বলেন নির্মাণকার্য তাড়াতাড়িই শুরু হবে। “আই আই টি তথা ভারতের শ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়াররা এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন। এখানকার মাটি বেশ নরম। সেই ব্যাপারটা মাথায় রেখেই নির্মাণ করতে হবে।”