ডেস্ক: বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন সাবিত্রীবাঈ ফুলে। বিজেপিতে থাকাকালীন সময়েই তাঁকে একাধিকবার বিজেপির বিরোধিতা করতে দেখে গেছে। অবশেষে প্রকাশ্যে নিজের পদে ইস্তফা দিলেন তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ যে এটি একটি ‘দলিত বিরোধী’ দল। ফুলের বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে আসছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা। কখনো তিনি কংগ্রেসের সর্বস্তরের কর্মীদের নিয়ে তিনি রাতভোর বৈঠক করেছেন আবার কখনও কংগ্রেসের কাজের নতুন নীতি প্রণয়ণ করেছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, জ্যোতরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর উপস্থিতিতে তিনি কংগ্রেসে যোগদান করেছেন বলে সূত্রের খবর। দলিত সম্প্রদায়ের নেত্রী সাবিত্রীবাঈ ফুলে বিগত এক বছরের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপির বিরধিতায় আওয়াজ তুলেছিলেন। তিনি বিজেপিকে ‘দলিত বিরোধী’ দল হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, কেন্দ্রে কোনোভাবেই এই দল ক্ষমতায় যোগ্য নয়। সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া একটি সাক্ষাতকারে ফুলে বলেন, তিনি দেশের সংবিধানকে রক্ষা করার জন্যই কংগ্রেসে যোগ দান করেছেন। স্পষ্ট জানিয়েদেন বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার ক্ষমতা একমাত্র কংগ্রেসেরই আছে তাই তিনি বিজেপি ছেড়ে এখানে এসেছেন।
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ফুলে অভিযোগ করেছিলেন, বিজেপি দলিতদের সংরক্ষণের বিষয়ে কোনও ফলপ্রসূ পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। বিজেপি সমাজ বিভাজনের রাজনীতি করছে। সাবিত্রীবাঈ ফুলে সমাজবাদী পার্টির হয়েই প্রথমে রাজনীতিতে পদার্পণ করেছিলেন, এরপর তিনি ২০১৪ সালে দলিত সম্প্রদায়ের প্রার্থী হিসেবে বিজেপির হয়ে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন। সাবিত্রীবাঈ ফুলের পাশাপাশি সমাজবাদী পার্টির নেতা রাকেশ সাচান কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। এই যুব কংগ্রেস নেতাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এখন বিরোধী দলের নেতারাও কংগ্রেসে যোগদানের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। সামনের লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ করার পরই কংগ্রেসের এই নব নিয়োগ হওয়া নেতাদের সাফল্য প্রকাশ্যে আসবে।