ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই বাড়িতে এসে সে জানিয়েছিল, স্কুলের হস্টেলে উচুঁ ক্লাসের তিন দাদা জোর করে রোজ রাতে তার ঘরে ঢুকে মদ খায়। বারণ করলে বকাবকি করে। মদ খেয়ে তার সঙ্গে অসভ্যতামিও করে। বাড়ি থেকে তারপরেও সে ভাবে বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। ছুটি শেষে সে বাড়ি থেকে ফিরে গিয়েছিল স্কুলের হোস্টেলেই। তারপর এক সপ্তাহ সময়ও কাটেনি। বুধ সকালেই খবর এল স্কুলের হোস্টেলে গলায় দড়ি দিয়েছে সে। সে খবর বাড়িতে এসে পৌঁছেতেই উঠেছিল কান্নার রোল। তারই মধ্যে তড়িঘড়ি করে সবাই রওনা দেয় হাসপাতালের পথে। সেখানে তখন অপেক্ষা করছে আরও যন্ত্রণাময় তথ্য। হাসপাতালে পৌঁছে ছেলের দেহ দেখে চমকে যায় বাড়ির লোকেরা। শরীর জুড়ে অজস্র ক্ষতচিহ্ন। কেউ যেন মোটা ছুঁচ দিয়ে সারা শরীর জুড়ে ফুটিয়েছে। আঘাত রয়েছে পুরুষাঙ্গেও। শরীরের নানা জায়গায় রয়েছে কিছু দিয়ে ছেঁকা দেওয়ার দাগও। তারপরেই বাড়ির লোকেদের সন্দেহ হয়, আত্মহত্যা নয়, যৌন নিগ্রহের পরেই খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের ছেলেকে।
বুধবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ালো মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকলে। জেলার এই মহকুমা শহরের এক বেসরকারি স্কুলের হস্টেলে এদিন পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। সামাউল শেখ নামে বছর বারোর ওই স্কুল ছাত্রের বাড়ি জেলার বহরমপুর সদর মহকুমার ইসলামপুর থানার নাজিরপুর গ্রামে। ঘটনার জেরে তার পরিবারের তরফে স্কুল হোস্টেলের তিনজন ছাত্রের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হোস্টেল সুপারের নামেও। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত তিন ছাত্রকে ধরলেও প্রথমে হোস্টেল সুপারের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগই নেয়নি। তার জেরে ওই ছাত্রের পরিবার পরিজনেরা ডোমকল-বহরমপুর জেলা সড়ক অবরোধ করে রাখে। টানা ৩ ঘণ্টা অবরোধ চলার পর বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তোলে। গ্রেফতার করা হয় হোস্টেল সুপারকেও।