মহানগর ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলল। বালিগঞ্জের বাসিন্দা ২২-২৩ বছরের ওই যুবক গত ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে ফিরেছিলেন। তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। বর্তমানে তিনি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিদেশ থেকে ফেরার পরই অবশ্য হোম আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে করোনা উপসর্গ বাড়তে থাকায় হাসপাতালে যোগাযোগ করেন। তাঁর পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে বলে জানান পূর্ব ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাইসেডের অধিকর্তা। তিনি কার কার সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ওই যুবকের দুই বন্ধুর শরীরেও করোর উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা চণ্ডীগড় ও পঞ্জাবের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই ওই তরুণের গোটা পরিবারকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তিনি ১৩ তারিখ বাড়িতে ঢোকার পর কারোর সঙ্গে কোথাও বের হননি, বিশেষ কথাও বলেননি। কিন্তু ১৬ তারিখ থেকেই সর্দি, কাশি ও জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এরপরই তাকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করা হয়।
দেশে ক্রমশ ডানা বিস্তার করছে করোনা আতঙ্ক। একের পর এক মানুষ এর কবলে পড়ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯৬। মৃত ৪। এই অবস্থায় যে কোনও প্রকারে একে রুখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কেন্দ্র থেকে রাজ্য। গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে আগামী রবিবার ‘জনতা কার্ফু’র ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিন কাউকে ঘর থেকে বের না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। দেশে করোনা সংক্রমণ এখনও দু নম্বর স্টেজে রয়েছে। কোনও ভাবেই যাতে এই সংক্রমণ কমিউনিটি ট্রান্সমিশনে রূপান্তরিত না হয় সেটাই সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
এর আগে মঙ্গলবারই লন্ডন ফেরত এক যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় শহরে। ওই যুবকের মা আবার রাজ্য সরকারের বড় আমলা। তাই তিনি নাকি নিজের প্রভাব খাটিয়ে পরামর্শ সত্ত্বেও ছেলেকে বেলেঘাটা আইডিতে ভর্তি করেননি বলে দাবি ওঠে। শেষ পর্যন্ত যদিও ওই যুবককে ভর্তি করা হয়। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের মা-বাবার শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে কলকাতা শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল দুইয়ে।