মহানগর ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে করোনার প্রায় ২০০টির বেশি ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেট ট্রায়ালের মধ্যে রয়েছে। তার মধ্যে কোন ভ্যাকসিন সবার প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে সেটা অপেক্ষার বিষয়। তবে ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে চোখ বন্ধ করে গোটা বিশ্ব ভরসা করে রয়েছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের উপর। এটা এখন পরিষ্কার। এদিন আরও জানা গিয়েছে, ভারত সহ আর্থিকভাবে দুর্বল আরও একাধিক দেশের জন্য অতিরিক্ত ২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ বানাবে সেরাম।
অতিরিক্ত এই ২০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ বানানোর সৌজন্যে রয়েছে ধনকুবের বিল গেটস ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং গাভি। ভ্যাকসিনের জন্য তাদের তরফে যে অনুদান ঘোষণা করা হয়েছিল সেই অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন এমনটাই জানিয়েছে সেরাম কর্তৃপক্ষ। এই অনুদানের ফলে সেরাম আগামী বছরের শুরুতেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্সের ভ্যাকসিন তৈরি করতে সক্ষম হবে।
আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল দেশগুলিও যাতে ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য গত অগাস্ট মাসেই সেরামের সঙ্গে গাভি ও গেটস ফাউন্ডেশন ১০ কোটি ডোজের চুক্তি করেছিল। সেই চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ডোজের ভ্যাকসিনের দাম কোনও ভাবেই ২০০ বা ২১০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। এখনও পর্যন্ত সেরামকে ভ্যাকসিন বানাতে ৩০ কোটির অনুদান দিয়েছে দাতব্য এই দুই সংগঠন। এমনভাবে এই চুক্তি করা হয়েছে যাতে পরবর্তী সময় প্রয়োজন পড়লে অতিরিক্ত ডোজ সাপ্লাই করতে পারে সেরাম।