মহানগর ওয়েবডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সিদ্ধান্তের পর থেকেই দিল্লির শাহিনবাগ গর্জে উঠেছিল প্রতিবাদে। গোটা দেশে সিএএ প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছিল এই জমায়েত। এমনকি ভারতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রাথমিক পর্যায়েতেও প্রতিবাদ ছেড়ে উঠতে চান নিয়ে আন্দোলনকারীরা। যদিও পরে উঠে যেতেই হয়। এখন সেই শাহিনবাগই করোনাভাইরাসের অন্যতম হটস্পট।
১৪ এপ্রিল লকডাউন ওঠার কথা থাকলেও দেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতেই দেশের একাধিক জায়গা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই জায়গা গুলির মধ্যে অন্যতম হল শাহিনবাগ। এই এলাকায় এখনও পর্যন্ত তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
সিএএ সিদ্ধান্তের পর শাহিনবাগকে রীতিমত আন্দোলনের মুখ মেনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছিল একাধিক প্রতিবাদ স্থল। যেখান থেকে একনাগাড়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে যাওয়ার ফলে সেই আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখতেই হয়েছে। কিন্তু ভাইরাস পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে পর্যন্ত শত চেষ্টা করেও শাহিনবাগ তথা অন্যান্য আন্দোলন স্থল খালি করতে পারেনি প্রশাসন। এখন বলা যেতে পারে, করোনা ভাইরাস এক ধাক্কায় থামিয়ে দিয়েছে সিএএ প্রতিবাদ।