মহানগর ওয়েবডেস্ক: যত ঝড় আসুক, প্রতিবাদ থামবে না। করোনার আতঙ্কে যখন তটস্থ দেশবাসী তখন থামেনি শাহিনবাগের প্রতিবাদ। সেই ডিসেম্বর থেকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে একনাগাড়ে চলছে তাদের প্রতিবাদ। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে যে কোনও ধরণের জমায়েত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। তবে সেসব তোয়াক্কা না করেই নিজেদের অবস্থান থেকে একচুল নড়ছেন না শাহিনবাগের মহিলারা। এদিকে দিল্লি সরকারও যে কোনও জমায়েতে জারি করেছে নিষেধাজ্ঞা। এখনও অবধি ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ জন। দিল্লির জনকপুরীর এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে করোনার কারণে।
শুক্রবার উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াও জমায়েত না করার একই পরামর্শ দিয়েছেন। তবে তাকে শাহিনবাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার যা প্রয়োজনীয় সেটাই করবে।’ এদিকে দিল্লিতে সমস্ত সিনেমা হল, স্কুল, কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
এ বিষয়ে শাহিনবাগ প্রতিবাদের মুখপাত্র কাজি ইমাদ জানিয়েছেন, আমরা সম্মান করি সরকারের সিনেমা হল বা আইপিএল বন্ধ রাখার নিষেধাজ্ঞাকে। তবে এগুলি মানুষের বিনোদনের জন্য। আমরা প্রতিবাদ করছি আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। এই দুটিকে তুলনা করা চলে না।”
অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে বাতিল করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের বার্ষিক বৈঠক। অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার আয়োজন করা হয়েছিল রবিবার। তবে করোনা আতঙ্কের জেরে বাতিল করে দেওয়া হয় সেটি। আরএসএস নেতা সুরেশ যোশি জানিয়েছেন, অতিমারি কোভিড-১৯ এর কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো জমায়েত এড়াতে বাতিল করা হয়েছে এই বৈঠক। বেঙ্গালুরুতে আরএসএসের বার্ষিক সভা হওয়ার কথা ছিল।