নিজস্ব প্রতিবেদক: দল থেকে ইস্তফা দিলেন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শীলভদ্র। তবে জানিয়েছেন, বিধায়ক পদ থেকে এখনই ইস্তফা দিচ্ছেন না। পরে যা বলার মঞ্চ থেকে সরাসরি বলবেন।
ঠিক আগের দিনই একইভাবে ইস্তফা দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। বলেছিলেন, পরে বলবেন যা কিছু বলার আছে।
বাঁকুড়া, মালদা, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, আলিপুরদুয়ার সহ বিভিন্ন জেলা জুড়ে পড়ে গিয়েছে সবুজ শিবির ছাড়ার হিড়িক। পদত্যাগ করছেন ব্লক সভাপতি, পৌর প্রধান, স্থানীয় নেতৃত্ব। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সবুজ শিবিরের হাত থেকে বেরিয়ে যেতে পারে মালদা জেলা পরিষদ। সকলেরই বক্তব্য, দলে প্রাপ্যসম্মান জোটে না। প্রশান্ত কিশোর টিম সব সময় স্থানীয় কাজে হস্তক্ষেপ করে।
অন্যদিকে, গুসকরা কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ দুই মন্ত্রী হাতে তুলে নেবেন গেরুয়া পতাকা। তাঁদের মধ্যে একজন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দোপাধ্যায়। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ এক নেতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোপ দেগেছিলেন অভিষেকের বিরুদ্ধে। পরে অবশ্য তিনি বলেন, তিনি এ কাজ করেননি। গতকাল আশিস বন্দ্যঝপাধ্যায় সহ একাধিক জনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন অনুব্রত। তারপরেই মন্ত্রী বলেন, তিনি সবুজ শিবিরেই আছেন। অন্য কোথাও নাম লেখাচ্ছেন না।
আবার, বাঁকুড়া জেলা সহ-সভাপতি শ্যামাপ্রসাদ ও বিষ্ণুপুর পুরসভার তিনজন কাউন্সিলর পদত্যাগ করেছেন।
দলত্যাগীদের প্রসঙ্গে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কল্যাণ বলেন, যারা বেরিয়ে যাচ্ছে তাদের জন্য দলের কোনও ক্ষতি হবে না। ‘দুয়ারে সরকার’, ‘স্বাস্থ্য সাথী’-র জন্যই মমতাকে মাথায় তুলে রাখবেন মানুষ। এবারের সরকার আবার দিদির সরকার। সৌগত বলেন, শুভেন্দু পদত্যাগ করবেন জানাই ছিল। প্রথম বৈঠকের পরের দিনে শুভেন্দুর বক্তব্যের পরেই সম্পর্ক ছেদ হয়েছিল। তৃণমূলের হাল শক্ত করে ধরে রয়েছেন দিদি। অনুব্রত বলেন, যারা দল ছাড়ছে সকলেই ধান্দাবাজ। আমার ঘনিষ্ঠ কেউ তৃণমূল ছাড়ছে না।
একদিকে যখন দলত্যাগের হিড়িক অন্যদিকে তখন পাহাড়ে বিজেপিকে সমর্থন জানালো গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট। সব মিলিয়ে মমতার রাশ যত হালকা হচ্ছে, যতই শক্ত হচ্ছে বিজেপি-র দাবার চাল। লক্ষ্য এবার মেদিনীপুরের কলেজ- কলেজিয়েট ময়দানে। সেখানে কতজন যোগ দেয়, তাই দেখার।