ডেস্ক: দল থেকে বারবার সতর্ক করা হলেও সেসবে পাত্তা দেওয়ার মেজাজে নেই শোভন চট্টোপাধ্যায়। উল্টে তিনি যে বান্ধবী বৈশাখীর পাশেই রয়েছেন এদিনও সেই প্রমাণ পাওয়া গেল। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় সাক্ষ্যদান শুরু হওয়ার দিন বৈশাখীকে নিয়েই আদালতে পৌঁছান মেয়র। আলিপুর জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারক শান্তনু মিশ্রর এজলাসে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। উপস্থিত ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং উভয়পক্ষের আইনজীবী।
গত ২৬ জুনের মতো এদিনও আদালতে আসেন নি শোভনের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়। উভয়পক্ষের সওয়াল জবাবের পর পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আগামী ৯ জুলাই ধার্য করা হয়।
উল্লেখ্য, গত দিনের মতো এদিনও শোভনবাবুর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন বৈশাখী৷ যা নিয়ে কিন্তু বিভিন্ন মহলে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে৷ অনেকেই মনে করেন, স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ এই বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শোভনবাবুর ঘনিষ্ঠতা৷ আর এদিনও আদালত চত্বরে মেয়রের ছায়াসঙ্গী হয়ে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দেখা দেওয়াতে সেই তত্ত্ব আরও জোরাল হল বলেই মনে করা হচ্ছে৷
উল্লেখ্য, এদিন বিবাহ বিচ্ছেদ ও খরপোশের মামলার থেকেও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মেয়রের পাশে তাঁর বান্ধবী বৈশাখীর থাকার বিষয়টি৷ বৈশাখা বন্দ্যোপাধ্যায় পেশায় একজন নামী অধ্যাপিকা৷ তবে মেয়র ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি দফতরের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি৷ এখন অবশ্য সবকটি দফতর থেকেই হয় বৈশাখীদেবীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, অথবা তিনি পদত্যাগ করেছেন৷ খুব স্বাভাবিকভাবেই মামলা চলাকালীন মেয়রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন অধ্যাপিকা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আদালত কক্ষে হাজির থেকে পাশে দাঁড়ানোর বার্তা আরও জোরাল করলেন তিনি৷