ডেস্ক: হাওড়ার বাগনানে তৃণমূল নেতা মহম্মদ মহসিন খুনে গ্রেফতার করা হল ৬ অভিযুক্তকে। যদিও মূল দুই অভিযুক্ত এখনও পলাতক। এই খুনের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়া শিবির।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শাসকদলের নেতার মহম্মদ মহসিনের। সোমবার রাতে হাওড়ার বাগনান থানার হাটুড়িয়া ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নওপাড়া মোড়ে এই খুনের ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, মহসিন আগে কংগ্রেস করতেন। বছর দু’য়েক আগে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁর স্ত্রী নুরেন্নেসা বেগম তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন। সোমবার রাত দশটা নাগাদ কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়ে নওপাড়া মোড়ের কাছে তাঁর বাইকের পথ আটকায় তিন দুষ্কৃতী। পেয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হয় তাঁকে৷
এরপর মহসিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। এই ঘটনার পর থেকেই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ওই এলাকায়। মৃত দেহ নিয়ে রাত দু’টো পর্যন্ত ৬নং জাতীয় সড়ক ও বাগনান থানা ঘেরাও করে রাখে তৃণমূল কর্মীরা। শাসকদলের পক্ষ থেকে এই ঘটনার জন্য বিজেপিকে নিশানায় নেওয়া হয়। পরে পুলিশ আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাটুড়িয়ার এক নং অঞ্চলে বন্ধ হয়েছে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আসরফ , সুবেদার ও হ্যাপির বাড়িতে রাতেই ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। এলাকায় পরিস্থিতি এখনও থমথমে।