মহানগর ওয়েবডেস্ক: নারদ স্টিং অপারেশন কাণ্ডের প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এই প্রথম কাউকে গ্রেফতার করল সিবিআই। অবশেষে আজ গ্রেফতার হয়েছেন আইপিএস এসএমএইচ মির্জা। দীর্ঘ সময় ধরেই তাঁর ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছিল এবং একাধিকবার তলবও করা হয় তাঁকে। বৃহস্পতিবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে এলে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত সিবিআই হেফাজত হল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার এসএমএইচ মির্জার। সিবিআই-এর বিশেষ আদালত এসএমএইচ মির্জার পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
২০১৬ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক কয়েক দিন আগে প্রকাশ্যে আসে নারদা স্টিং অপারেশন কাণ্ড। ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলের করা এই স্টিং অপারেশনের ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যায় তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী ও সাংসদকে। এই অপারেশনেই প্রকাশ্যে আসে এক সময় বর্ধমান জেলার পুলিশ সুপার পদে থাকা শাসকদলের ঘনিষ্ঠ আইপিএস মির্জার ভূমিকাও। তত্কালীন এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা তথা বর্তমানে ওই বিজেপি নেতার হয়ে তাঁকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল স্টিং অপারেশনের ভিডিও ফুটেজে। তিন বছর এই গ্রেফতারি নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে যে, আইপিএস মির্জাই কেন। সেই প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মির্জাকে নিজেদের কবজায় নিয়ে জেরা করেই নারদ মামলার জট খুলতে প্রচেষ্টা সিবিআই-এর।
মির্জার গ্রেফতারিতে বেজায় খুশি নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। তাঁর কথায়, ‘আজকের দিন আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন। ২০১৬ সালে এই টেপ রিলিজ হয়। তখন এই তৃণমূল থেকে বলা হয় এটা কোনও রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত, ম্যাথু স্যামুয়েলের পিছনে কেউ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আমার পিছনে পড়ে যায়, সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের পর তারা পর্যন্ত মেনে নেয় যে এটা পুরোপুরি সাংবাদিক পদক্ষেপ ছিল।’