ডেস্ক: একের বিরুদ্ধে এক লড়াই ৷
যে রাজ্যে যে দল শক্তিশালী, সেই দলকে সমর্থন করুক কংগ্রেস৷ বুধবার দিল্লির দশ নম্বর জনপথে সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে দেখা করার পর এ কথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি আশাবাদী কর্নাটকে কংগ্রেসই জিতবে৷ একইসঙ্গে জানান, সোনিয়ার সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছে ৷ তবে তা নিয়ে বিশদে কিছু বলেননি তৃণমূল নেত্রী৷
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে উতখাত করতে কোমর বেঁধে নেমেছেন তৃণমূল নেত্রী৷ অবিজেপি,অকংগ্রেসি দলগুলিকে এককাট্টা করতে বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি৷ এই লড়াইয়ে কংগ্রেসের ইউপিএ-তৃতীয়তে সামিল হবেন কিনা, না আলাদাভাবে ফেডেরাল ফ্রন্টে লড়বেন,তা নিয়ে তুঙ্গে জল্পনা৷ সেই জল্পনার মধ্যেই বুধবার সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন মমতা৷ যদিও তাঁর অবস্থান নিয়ে স্পষ্ট কোনও দিশা দেননি তৃণমূল নেত্রী৷ বলেছেন. রাজীবের সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে সোনিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে৷ দিল্লি এলেই তিনি সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করেন৷ এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন৷
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করতে নয়াদিল্লিতে এসে হোমওয়ার্ক অনেকটাই সেরে ফেলেছেন মমতা বন্দোপাধায়৷ মঙ্গলবার ফেডেরাল ফ্রন্ট গড়ার লক্ষ্যে বৈঠক করেছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার,প্রফুল প্যাটেলদের সঙ্গে ৷ কথা বলেছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত,বিজেডি নেতা অনুরাগ মহান্তির সঙ্গেও ৷ এর আগে কলকাতায় এসেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও৷ টেলিফোনে কথা হয়েছে চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গেও৷ আর বুধবার কথা বললেন বিজেপির সাংসদ-অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, প্রাক্তনমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা ও অরুণ শৌরির সঙ্গে ৷ বাজপেয়ী আমলে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন যশবন্ত সিনহারা৷ মোদি-অমিত শাহের জমানায় তাঁরা ব্রাত্য৷ অন্যদিকে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে অলিখিতভাবে বিদ্রোহ করা শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপিতে মোদি তন্ত্রের বিরুদ্ধে কামান দেগেছেন তিনি৷ আর বিজেপির ভেটারেনদের ক্ষোভকে কাজে লাগাতে তৎপর মমতা৷ এদিন বৈঠকের পর অরুণ শৌরি জানান, মোদিকে কোণঠাসা করতে একের বিরুদ্ধে এক লড়াই প্রয়োজন৷ যশবন্ত বলেন, ‘মমতা সংসদের পুরনো সদস্য। উনি খুব ভাল। দেশকে বাঁচাচ্ছেন। একদম ঠিক কাজটিই করছেন’। শত্রুঘ্ন বলেছেন, ‘যে কোনও রাজনৈতিক দলের আগে দেশ।’ শৌরির কথায়, ‘বিজেপি–র নিয়ন্ত্রণ এখন নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহের হাতে যাচ্ছে।’এদিন আলোচনা করেন দিল্লির মুখমন্ত্রী ও আপ নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গেও ৷ সবমিলিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোদি-অমিত শাহদের দিল্লিছাড়া করতে তৃণমূল নেত্রীর এই দিল্লি অভিযান কতটা সফল হয়, তা বলবে সময়৷ এদিন এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৫ শতাংশ বিক্রি নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে উদ্বেগও প্রকাশ করেন মমতা৷