নিজস্ব প্রতিবেদক, বর্ধমান: আদালতের নির্দেশে মাত্র ১দিনের জন্য বাঁকুড়া জেলায় প্রবেশের ছাড়পত্র পেয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করেই বৃহস্পতিবার তিনি চলেছিলেন বাঁকুড়ার পথে মনোনয়ন জমা দিতে। কিন্তু পথিমধ্যেই ঘটল হামলার ঘটনা। কয়েকদিন আগে যে খন্ডঘোষে প্রচারে গিয়ে তিনি হামলার মুখে পড়েছিলেন এদিনও সেই খন্ডঘোষেই আবার হামলার ঘটনা ঘটলো তার কনভয়ে। সেই হামলাবাজির জেরেই এবার স্থানীয় থানার সামনে তিনি বসে পড়লেন ধর্নায়। অভিযোগ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা। তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। ২০১৪ সালে তিনি তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়ে দিল্লিউ গেলেও এবারে সেই শিবির ছেড়ে চলে গিয়েছেন বিজেপিতে। এবার তাদের টিকিটেই সেখান থেকে প্রার্থী হয়েছেন তিনি।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সৌমিত্র খাঁ বিরাট কনভয় নিয়ে বাঁকুড়ায় যাচ্ছিলেন তার মনোনয়ন জমা দিতে। পথে পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের লোধনা এলাকায় তৃণমূল সমর্থকেরা তার কনভয়ের ওপর হামলা চালায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি সমর্থকরা খন্ডঘোষ থানার সামনে বর্ধমান বাঁকুড়া রোড অবরোধ করে। এই ঘটনায় খোদ সৌমিত্র খাঁ অভিযোগ করেছেন, খন্ডঘোষ থানার ওসি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। যদিও পুলিশ এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, তারা ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে খন্ডঘোষের শশংগা অঞ্চলে প্রচারে আসলে সৌমিত্রবাবুকে কালো পতাকা দেখানো হয় এবং তার গাড়ির ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমুলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে সৌমিত্রবাবু খন্ডঘোষ থানার সামনে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। যদিও এ ব্যাপারে খণ্ডঘোষ এর বিধায়ক নবীনচন্দ্র বাগ বলেন এই ঘটনা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের ঘটনা। এর সঙ্গে তৃণমুলের কোন যোগাযোগ নেই। যদি প্রমাণ হয় তৃণমূল হামলা করেছে তাহলে তিনি নিজে দায়িত্ব নিয়ে খণ্ডঘোষ বিধানসভায় সৌমিত্রবাবুর হয়ে প্রচার করাবেন।