Highlights
- পাওয়া গিয়েছে মহিলার পরিচয়পত্র
- মৃতের নাম জানা গিয়েছে
- তবে রক্তে ভিজে কার্ডের বাকি লেখা নষ্ট হয়ে গিয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক, পূর্ব মেদিনীপুর: আন্তর্জাতিক নারী দিবসের দিনেই খুন হতে হয়েছিল এক মহিলাকে। দোলের দিন সকালে উদ্ধার হয়েছে ট্রাভেল ব্যাগবন্দি দেহ। তা নিয়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। কার দেহ, কেন খুন তা নিয়ে কোনও ক্লু পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে মিলল সূত্র। তবে সেই ক্লু ধরে এগানোও যথেষ্ট কষ্টসাধ্য।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা থানার অন্তর্গত দীঘা রাজ্য সড়কের দোঁবাধি শনি মন্দির সংলগ্ন আইলানের কাছে নয়নজুলি থেকে উদ্ধার হয় অজ্ঞাত পরিচয় এক বিবাহিত মহিলার ব্যাগবন্দি মৃতদেহ। বয়স আনুমানিক ২৭ বছর। তাঁর পোশাকে বা দেহ থেকে পরিচয়ের কোনও সূত্র পাওয়া যায়নি। অবশেষে ট্রলিব্যাগ ঘেঁটে মিলল সূত্র। ব্যাগ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কীসের পরিচয়পত্র তা জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে কোনও কোম্পানির পরিচয়পত্র। তবে রক্তে ভিজে সেই কার্ড পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। অনেক কষ্ট করে শুধুমাত্র তরুণীর নাম পড়তে পারা সম্ভব হয়েছে। এই সূত্র ধরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কিছুদিন আগে মেচেদা কার্শেডে হাওড়া-মেচেদা ট্রেন থেকে ট্রলিব্যাগে এক ব্যবসায়ীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় রাত্রি সাড়ে ১০ টা নাগাদ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হোটেল লিজ নিতে যাওয়ার জন্য দালালদের টাকা দিতে গিয়েছিলেন। সেই টাকা হাতিয়েই দালাল খুন করে তাঁকে। ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতারও করেছে। একই কায়দায় এবারেও ব্যাগবন্দি মহিলার দেহ।
৮ মার্চ সোমবার নয়নজুলি এলাকায় স্থানীয় এক ব্যক্তি রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার সময় একটি ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখতে পান। এরপর তিনি এলাকাবাসীদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল। নাম জানার পর মৃত তরুণীর পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে কেন খুন, খুনের পেছনে কে বা কারা জড়িত।