নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার অন্যতম সোপান হল নন্দীগ্রাম। আর সেই নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারী। দীর্ঘ দুই দশক তিনি তৃণমূলের সঙ্গে ঘর করেছেন। সম্প্রতি নিজের পুরনো দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তারপর থেকে নন্দীগ্রামে যাতায়াত বেড়েছে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের। আর এইসব দেখে শুভেন্দ্র অধিকারী তাদের কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। প্রকাশ্য জনসভায় একাধিকবার তিনি বলেছেন, ‘ভোট এলেই পরিযায়ী পাখিদের মতো নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ে তৃণমূল নেতাদের’। শুভেন্দু অধিকারীর এই কথা যে তৃণমূল নেতারা হজম করবেন না তা তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
কয়েক দিন আগে নন্দীগ্রামের সভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভায় দাঁড়িয়ে তিনি নন্দীগ্রামের প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি ঘোষণা করেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করতেই শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক চর্চা। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হয়, ভবানীপুরে হারের ভয়ে তিনি এবার নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন।ইতিমধ্যে তাঁর দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। গতকাল শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘নন্দীগ্রামের তিনটি অঞ্চলে ভোট পাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকি ১৪টি অঞ্চলে তৃণমূলকে তিনি ভোকাট্টা করে দেবেন।‘
মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করতেই ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। সেখানে সংগঠনের হাল কেমন আছে তা জানতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি তিনি নন্দীগ্রামে যাবেন। সেখানে তিন দিন থাকবেন। নন্দীগ্রামের অলিতে-গলিতে ঘুরে তিনি দেখবেন সংগঠনের হাল। কথা বলবেন প্রতিটি ব্লকের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রীর এখানে লড়ার রাস্তা মসৃণ করতে সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দল এখানে সংগঠনের অবস্থা কেমন আছে তা ঝালিয়ে নিতে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।