ডেস্ক: আদালতে যাওয়া, আর কুঠুরিতে ফিরে আসা। এভাবেই একটার পর একটা দিন কেটে যাচ্ছে সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেনের। জীবনটা যে তাঁর জন্য ক্রমশ দুর্বিষহ হয়ে উঠছে, সেই কথার স্বীকারোক্তি নিজের মুখেই করে ফেললেন সুদীপ্ত।
এদিন সারদা মামলায় ফের আদালতে হাজিরা দিতে উপস্থিত হন সুদীপ্ত সেন। তবে এদিন আর লাল ডায়রি বা অন্য কোনও বিষয় নয়, বরং মানসিক ও শারীরিকভাবে তাঁর ভেঙে পড়ার দৃশ্য ফুটে ওঠে। একদা ডাকসাইটের ব্যবসায়ী নিজের এই পরিণতির কথা যে কল্পনাও করতে পারেননি। তাই এদিন তাঁর মুখে কেবলই হতাশা ও নিজের মরণের আশঙ্কা শুনতে পাওয়া যায়। পুলিশের গাড়ি থেকেই নেমে তাঁর মুখে উক্তি, ‘আমি আর বাঁচব না। যে কোনও দিন মারা যেতে পারি আমি। সারদার সব সম্পত্তি শেষ, আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। আমি বাঁচব না।’ কিন্তু কেন এমন উক্তি সারদাকর্তার গলায়? জিজ্ঞেস করলেও পাওয়া যায়নি যথার্থ উত্তর। সুদীপ্ত সেনের পাশাপাশি এদিন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন দেবযানীও। সুদীপ্তর এ হেন অবস্থার কথা তাঁকে জানানো হলেও মুখে কুলুপ আটকে রাখেন তিনি।
২০১৩ সালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় কাশ্মীর থেকে। তারপর থেকেই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা সংশোধনাগার। সারদার সম্পত্তি বিক্রি করে বকেয়া টাকা মেটানোর জন্য তিনি বার বার আবেদন করলেও তা আদালতে কখনও গ্রাহ্য হয়নি। ক্রমশ অজ্ঞাতের অতলে তলিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজের মৃত্যুর আশঙ্কাও শোনা গেল সেই সুদীপ্ত সেনের মুখ থেকে।