মহানগর ওয়েবডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই হেনস্থা করে বামেরা নিজেদের বিপদ নিজেরাই ডেকে আনল না তো? হবহু এই প্রশ্ন না তুললেও বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার পর এই প্রশ্নই তুলে দিলেন খোদ বাম পরিষদীয় দলনেতা তথা যাদবপুরের বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। যদিও ছাত্রদের রুখে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে প্রশ্নও তুলেছেন, এভাবে হেনস্থা করার মানে কী? কেনই বা সংবাদ মাধ্যমের উপস্থিতিতে হেনস্থা করে বাবুলকে প্রচার পাইয়ে দেওয়া হল?
গতকাল গতকাল দুপুরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন বাবুল। সেইসময় বাম ছাত্র সংগঠনগুলির বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি৷ বাবুলকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগানের পাশাপাশি তাঁর চুল ধরে টানার ও তাঁকে মারধর করার চেষ্টার ছবিও ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায়৷ কয়েক ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘আটক’ হয়ে থাকার পর শেষ পর্যন্ত রাজ্যপালের বদান্যতায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু রাজ্য রাজনীতির উত্তাপ সেই যে বেড়েছে। তা কমার কোনও সংকেত দেখা যাচ্ছে না।
এই নিয়ে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘যেদিন দিলীপ ঘোষরা বিশ্ববিদ্যালয়কে অপরাধী বানিয়ে মারব ধরব গোছের ভাব নিয়ে হই হই করে যাদবপুরে যাচ্ছিলেন তখন সেখানকার মানুষরা তাদের রুখে দিয়েছিলেন। তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু কারোর কথা বলার থাকলে তিনি তা বলতে পারবেন না এটা তো হয় না। গণতন্ত্রে সবাইকে জায়গা দেওয়া উচিত।’
সুজনের মতে, প্রতিবাদ হতেই পারে। কিন্তু তার একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি থাকা দরকার। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে হেনস্থা করা কখনই কাম্য নয়। যাদবপুরের বিধায়কের কথায়, ‘প্রতিবাদ হতেই পারে ৷ কেউ কালো পতাকা দেখাতেই পারে। কিন্তু যদি বাবুল সুপ্রিয়কে হেনস্থা করা হয় তাহলে উলটে তাঁকে হাইলাইট করা হচ্ছে। বাবুলকে যারা সাহায্য করতে চান তারাই এই ধরনের পরিকল্পনা করেছেন কিনা আমি জানি না।’