মহানগর ওয়েবডেস্ক: বলিউডে কয়েক দশক ধরে বাবা ও ছেলের ব্যক্তিত্ব মূলত শক্তিশালী পুরুষের মতোই। কিন্তু ধর্মেন্দ্র কিংবা সানি দেওল তাঁদের আবেগ লুকিয়ে রাখেন না সবসময়। সানি মনে করেন জনসমক্ষে কাঁদলেই কেউ দুর্বল হয়ে যায় না। এই বিষয়ে সানি জানান, ”আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খুবই আবেগপ্রবণ। তাঁদের সম্পর্কে কথা বলতে গেলেই আমি আবেগতাড়িত হয়ে যাই। এটাতে কিছু করার নেই আমার। একজন মানুষ হওয়ার জন্য তোমাকে সেটা প্রমাণ করতে হবে না। লোকে বলে ছেলেরা কাঁদেনা। সেটা নাকি দুর্বলতার লক্ষণ। আপনারাই বলুন কেউ কাঁদলেই সে দুর্বল এটা প্রমাণ হয়? এটা মানুষের শরীরের একটি আবেগের বহিপ্রকাশ।”
নিজের ছেলে করণ দেওয়লের ডেবিউ হচ্ছে ‘পাল পাল দিল কে পাস’ সিনেমার মাধ্যমে। মূলত রোম্যান্টিক জনারের এই সিনেমা নিয়ে সানি জানিয়েছেন, ”করণের বয়স অনুযায়ী সিনেমাটি বানানো হয়েছে। কারণ তাঁর বয়সের ছেলে-মেয়েরাই দেখবে এই সিনেমাটি। আমি মনে করি এটাই করণের ডেবিউ-এর জন্য সঠিক সিনেমা। একজন কলেজ জীবনের ছেলের চরিত্র যদি ৩৫ বছর গিয়ে অভিনয় করতে হয় তাহলে সেটা খুবই বাজে দেখায়। তাই এই বয়সেই এই চরিত্র করা প্রয়োজন। প্রত্যেক মানুষের প্রেমকাহিনী ভালো লাগে। আমার প্রেমের গল্প খুবই ভালো লাগে।”
সানি আরও জানান, ”সাধারণ একটা প্রেমের গল্প, এখানে না আছে কোনও ধর্মের গুঁতো না আছে কোনও জাতিভেদ প্রথা।” নিজের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে সানি জানান, ”গুরুদাসপুরে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েছি আমি, কিন্তু এটা কোনও প্রথ নয়। এটা সামাজিক কাজের জন্য আমি করেছি। আমি চাই নি রাজনীতিতে পা দেব, কিন্তু মানুষের কথা মাথাতে রেখেই, রাজনীতির ময়দানে পা দিয়েছি আমি। এবার সবটাই ভগবান জানেন ভবিষ্যতে কী হবে।”