ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে জেনারেলের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কোটা চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সংরক্ষণ কোটার স্থগিতাদেশ জারি করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। শুক্রবার সেই মামলারই রায় ঘোষণা করল দেশের শীর্ষ আদালত। এই মামলায় কেন্দ্রের কাছে নোটিশ পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট। তাতে বলা হয়েছে এই বিলের উপর কোনও স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না। শীর্ষ আদালতের এই রায়ের অর্থ হল, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে উচ্চবর্ণের দরিদ্রদের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণের আইনটি স্থগিত অথবা বাতিল হওয়ার সম্ভবনা নেই।
সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নির্দেশিত ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের সীমারেখা অতিক্রম করে যাওয়া সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। নতুন আইন অনুযায়ী যাদের আয় বছরে ৮ লক্ষ টাকার নীচে এবং যারা ৫ একরের কম জমির মালিক তারাই এই সংরুক্ষণের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে যারা মামলা করেছেন তাঁদের বক্তব্য, ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের বেশি করা যাবে না, ফলে বর্তমান আইনটি সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক অতএব বর্জনীয়।
সরকারের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করে জানানো হয়েছে, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংরক্ষণের মধ্যে পার্থক্যটি বিবেচনা করা প্রয়োজন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশটি সামাজিক সংরক্ষণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। যদি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে তাহলে রাজ্যগুলিকে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ সীমা অতিক্রম করার অনুমতি দিয়েছিল শীর্ষ আদালত ২০১০ সালের জুলাই মাসে।