মহানগর ওয়েবডেস্ক: করোনাভাইরাস আতঙ্কে এবার ব্যাকফুটে চলে যাচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতও। সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছাড়া আরও কোনও মামলা শুনবে না তারা। পরের সপ্তাহ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। করোনাভাইরাসের দাপট যাতে কম করা যায় সেইকথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকি আদালতে আইনজীবীদের দেদার আগমনেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে কোনওপ্রকার জমায়েত এড়িয়ে চলতে। সেই নির্দেশিকা মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট মামলা বিশেষে আইনজীবীদের প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে তারা। এছাড়া অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা ছাড়া কোনও মামলার শুনানি এই মুহূর্তে হবে না বলেই জানানো হয়েছে। মূলত সোমবার এবং শুক্রবার মামলার প্রবল চাপ থাকায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বর মানুষে মানুষে ছয়লাপ থাকে। সেই জমায়েত এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৮১ হয়ে গিয়েছে। তবে গতকালের আগে পর্যন্ত কারোর মৃত্যুর খবর আসেনি। বৃহস্পতিবার রাতেই দেশে প্রথম মৃত্যুর খবর মেলে। গত বুধবার করোনার লক্ষণ নিয়ে কর্ণাটকের কালবুর্গিতে মারা গিয়েছিলেন ৭৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। তাঁর রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেই রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের হাতে এসেছে। মৃত ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বলে কর্ণাটকের স্বাস্থ্য দফতরের কমিশনার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন। যদিও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি।
উৎসস্থল চিনে করোনার প্রকোপ আগে থেকে কম হলেও বাকি বিশ্বে তা দাবানলের আকারে ছড়াচ্ছে। ইতালিতে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২৫ হাজারের বেশি। একটা গোটা মানব সভ্যতা ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলা এই ভাইরাসকে রুখে দেওয়াই এই মুহূর্তে একমাত্র মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলির কাছে। ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসকে ‘অতিমারী’ বা ‘প্যান্ডেমিক’ ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO।