ডেস্ক: ভোটের আগে দেশের শীর্ষ আদালতকে এটা সুনিশ্চিত করতে হবে, যে ইভিএম মেশিনে কোনও কারচুপি নেই। এই দাবি তুলে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ২১টি বিরোধী দল, যাদের মধ্যে শামিল রয়েছে টিডিপি, আম আদমি পার্টি, এনসিপি, সপা, বসপা সহ আরও অনেকে। এবার এই মামলাতেই নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দিল শীর্ষ আদালত।
বিরোধীদের দাবি, পঞ্চাশ শতাংশ ইভিএম খতিয়ে দেখতে হবে। যেখানে ভিভিপ্যাট ব্যবহার হচ্ছে তাও খতিয়ে দেখে যাচাই করতে হবে। বিরোধীদের এই আর্জির পরেই নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে। এই রায়ের পাশাপাশি কমিশনকে দেওয়া নোটিশের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আদালতকে সহায়তা করার জন্য একজন সিনিয়র অফিসারকে নিয়োগ করতেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে, এবার ভোটে সব বুথেই ভিভিপ্যাট মেশিন থাকবে, ব্যালটে ফেরার প্রশ্ন নেই। তবে ঠিক কতগুলি বুথের ভিভিপ্যাট স্লিপ গোনা হবে, তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। ইভিএম মেশিন নিয়ে কারচুপি বিষয় বহুদিন আগেই সামনে আসায় সেই নিয়ে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সেই প্রেক্ষিতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় তারা। বিরোধীদের দাবি, ফল ঘোষণার আগে সব ইভিএমের ফলাফলের সঙ্গে ৫০ শতাংশ ভিভিপ্যাট স্লিপ মিলিয়ে দেখা হোক।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে সুপ্রিম কোর্ট নিজের একটি রায়ে বলেছিল, স্বচ্ছ নির্বাচন সংবিধানের মৌলিক ব্যবস্থার মধ্যে পড়ে। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভিভিপ্যাটের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে। এরপরই ২০১৪-র পর থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ভিভিপ্যাট ব্যবহার হওয়া শুরু হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এর ব্যবহার হবে রবিবার জানায় কমিশন। এবার বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেওয়া হল। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৫ মার্চ।