ডেস্ক: ‘পলাতক’ তকমা ঝেড়ে ফেলতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিজয় মালিয়া। কিন্তু সেই আবেদন করতে গিয়ে পালটা বিপদ বাড়ল তাঁর। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ১০০ শতাংশ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে ইডি তদন্ত চলবেই, এদিনের শুনানিতে সাফ জানিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আর্থিক তছরুপের দায়ে পলাতক মালিয়ার উপর মামলা স্থগিত করার প্রশ্নই নেই। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই মালিয়ার আবেদন খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্ট। আবেদনে নিজেকে ‘আর্থিক তছরুপের দায়ে পলাতক অপরাধি’র তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করে ইডি তদন্তের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন জানান তিনি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও এসকে কৌলের ডিভিশন বেঞ্চে চলে মালিয়ার এই শুনানি। তাঁকে আদেও প্রত্যার্পণ করা হবে কিনা সে বিষয়ে জানতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে নোটিসও জারি করতে বলে শীর্ষ আদলাত। একই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয় ধনকুবের এই শিল্পপতিকে ‘পলাতক’ তকমা দেওয়ার বিষয়ে তাদের কী মতামত। যদিও ইডি বিশেষ আদালতে আগেই মালিয়াকে ‘পলাতক’ তকমা দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল।
মালিয়ার আবেদনে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন নোটিস জারি করেছে ঠিকই। তবে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে চলা মামলায় আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করা হবে না বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। বম্বে হাইকোর্টের রায়ে হতাশ হয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন মালিয়া। কিন্তু এদিনও আখেরে নিরাশই হতে হবে তাঁকে। উল্লেখ্য, বুধাবার সকালেই একের পর এক টুইট করে মালিয়া জানান, ঋণের ১০০ শতাংশ টাকাই ব্যাঙ্কগুলিকে ফিরিয়ে দিতে রাজি তিনি। টুইটের মাধ্যমে নিজেকে পক্ষপাতিত্বের শিকার বলেও দাবি করেন মালিয়া। বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কে প্রায় ৯৩০০ কোটির দেনা রয়েছে মালিয়ার উপর।