ডেস্ক: ফের আরেকটি অডিও বার্তা। কিন্তু এবার ভারতী ঘোষ নয়, বরং প্রাক্তন আইপিএসের শত্রু হয়ে উঠে আসলেন এক ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তি। অডিও বার্তায় তিনি নিজের নাম বা বাকি ব্যক্তিগত তথ্য না জানালেও, ভারতীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগকে সত্যি বলে দাবি করেছেন সেই ব্যক্তি। একই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে সিআইডির চলা তদন্তের বিষয়ে তিনি সবকিছুই জানেন বলে দাবি তাঁর। চাঞ্চল্যকর অডিও বার্তায় ভারতীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও একজন সাধারণ মানুষ হয়ে তিনি কীভাবে এসব তথ্য জানলেন সেই নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।
অডিও টেপে সেই ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তি দাবি করেন, ভারতী নিজের দুর্নীতিকে আড়াল করতেই তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকে এনে জনসাধারণকে ভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সেই ব্যক্তির আরও দাবি, ভারতী চন্দন মাঝি নামের যে ব্যক্তির কাছ ঠেকে ৫০ কেজি সোনা নিয়েছিলেন দাবি করেছেন তা মিথ্যা। বরং চন্দন তাঁর সারাজীবনের সঞ্চয় ৩৯৫ গ্রাম সোনা পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। প্রসঙ্গত, ভারতীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হওয়ার পরই চন্দন অভিযোগ করেন যে দ্বিগুণ টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রাক্তন আইপিএসের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রচুর সোনা তুলে নেয় কয়েক জন পুলিশ। কিন্তু পরে সোনা বা টাকা কোনোটাই ফেরত আসেনি।
নিজের গোপনীয়তা লুকিয়ে রেখে ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ওই ব্যক্তি আরও মারাত্মক কিছু অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন, নোটবন্দির সময় কেবল দাসপুর এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকার প্রায় ৫০ কেজি সোনা তোলেন ভারতী। এই মামলায় তদন্ত চালিয়ে প্রতারিত হয়েছেন এমন ৩০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ীর নাম পেয়েছে সিআইডি। গতবছর একবার বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ হলেও ক্ষমতায় থাকার কারণে বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দেন ভারতী।
এই অডিও বার্তা প্রকাশ্যে আসার পরই নতুন করে সিআইডির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন ভারতী। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিনি জানান, আমি কখনও নাম-পরিচয় গোপন করে অডিও বার্তা প্রকাশ করি না। এই অডিও বার্তা নিয়েও ভারতীর অভিযোগ যে, সস্তায় প্রচার পেতেই সিআইডি ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ ব্যক্তি সেজে অডিও বার্তা বানিয়ে বাজারে ছাড়ছে।