নিসর্গ নির্যাস: গড়বেতায় শহীদ ক্ষুদিরাম স্মৃতি রক্ষা কমিটির আমন্ত্রণে এসে বিপ্লবীর পূর্ণাবয়ব মূর্তি উন্মোচন ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে শুভেন্দু বলেন, ‘আমি সামান্য জীব। এই মহতী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণের জন্য আপনাদের কাছে কৃতার্থ।’
এদিন তিনি বলেন, কোনও সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘আমি কমফোর্ট জনে রাজনীতি করি কিন্তু ২০১১ সালের আগে আমিই আসতাম গড়বেতায়। আসলে গ্রামের ছেলে রাস্তায় নেমেছে বলে কারও কারও অসুবিধা হচ্ছে।’
তিনি এও বলেন, ‘আদর্শের জন্য লড়েছি, আদর্শের জন্য লড়ব। আপনাদের সহযোগিতা আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি’
‘বন্দেমাতরম’ উচ্চারণ করে বক্তব্য শেষ করার আগে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ, মাতৃ শক্তি, যুবশক্তি, অগ্রজ-অনুজ, আদিবাসী, কুড়মি, মুসলিম সকলকে একসঙ্গে পথ চলতে হবে।
প্রসঙ্গত, ৬ ডিসেম্বর কুড়মি সমন্বয় মঞ্চের ডাকে পালিত হবে ‘দিয়া তো দিয়া, নাই দিয়া তো হুড়কা দিয়া’। তার আগেই সভাস্থল থেকে দু’বার ‘জহার’ জানান অধিকারী। এই দিনে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের অবস্থান জানাবেন।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতায় সভার আগে পূর্ব মেদিনীপুরে পদযাত্রা ও সভা করে তিনি বলেন, আমি বাংলার সন্তান। ভারতের সন্তান। আগেও সিঙ্গুর- নন্দীগ্রামের জন্য লড়াই করেছি। জনগনের জন্য এখনও লড়াই জারি থাকবে। শহিদ ক্ষুদিরামের জন্মদিবসে
এমনটাই বলেন তিনি।
প্রথমে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে পদযাত্রা করেন। এরপর ক্ষুদিরামের শিক্ষা কেন্দ্র শিক্ষাকেন্দ্র হ্যামিলটন স্কুলে একটি সভা করেন।
রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন এড়িয়ে তিনি বলেন, জনগণের জন্য আগে লড়েছি। এবারও জারি থাকবে লড়াই, ‘অফ দ্য পিপল-বাই দ্য পিপল-ফর দ্য পিপল’। নিজেকে ভূমিপুত্র বলেই পরিচয় দেন তিনি।
এদিন বিরাট সংখ্যক মানুষের পদযাত্রায় শুভেন্দুর হাতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা। তিনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবছরও অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এদিনের দুটি সভাই ছিল অরাজনৈতিক।
বুধবার সৌগতকে হোয়াটসঅ্যাপ করে তিনি জানিয়ে দেন, একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। পাল্টা সৌগত বলেন, তাহলে বৈঠকে কেন এসেছিলেন। সৌগত এও বলেন, দলের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার নয়। সেই অধ্যায় বন্ধ হয়েছে। কে গেল তা বিষয় নয়, দলের হাল শক্ত হাতে ধরে রেখেছেন দিদি।
অন্যদিকে নবান্ন সূত্রে খবর, তৃণমূল কর্মচারী ফেডারেশনের দায়িত্ব থেকে সরানো হতে পারে শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে বাদ দিয়েই নির্বাচনের রণনীতি সাজাচ্ছে তৃণমূল সুপ্রিমো।
এই দিনেই, হলদিয়ার এক অরাজনৈতিক সভায় শহীদ ক্ষুদিরামের জন্ম দিবস পালনের অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গেল লক্ষ্মণ শেঠ ও তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। রাজনীতিতে আবার শুরু হয়েছে গুঞ্জন। তবে কি তৃণমূলে এবারে লক্ষ্মণ শেঠ? জোড়া ফুলে আগেই যোগ দিতে চেয়েছিলেন লক্ষণ। আপত্তি জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের তিক্ততা বাড়তে তবে কি পূর্ব মেদিনীপুরে জোড়া ফুলের অন্যতম মুখ করতে চাইছে, এককালের কাস্তে ধরার পর বারবার দল পরিবর্তন করা লক্ষণ কেই?