ডেস্ক: ফের বড়সড় ধাক্কার মুখে এনডিএ জোট। তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুও সম্ভবত উদ্ধব ঠাকরের দেখানো পথেই হাঁটতে চলেছেন। বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিক শিবসেনা এনডিএ জোট ভাঙার পর এবার চন্দ্রবাবুও জানিয়ে দিলেন, প্রয়োজনে একাই নির্বাচন লড়বে তাঁর দল। একই সঙ্গে হুঙ্কারের সুরে তিনি জানিয়ে দেন, বিজেপি না চাইলে নিজের রাস্তা নিজেরাই দেখবেন তারা।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা বিজেপির হাত ছাড়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই খুব একটা স্বস্তিতে নেই শাসক দল। অন্যদিকে চলতি বছরে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে ভাল ফল না করতে পারলে ২০১৯-এ যে মোদীর সিংহাসন টালমাটাল হতে পারে তা ভাল করেই বুঝতে পারছেন অমিত শাহরা। মহারাষ্ট্রে জোট ভাঙার ধাক্কা সামাল দিয়ে ওঠার আগেই যদি চন্দ্রবাবুও বিজেপির হাত ছেড়ে দেন, তবে দক্ষিণে গেরুয়া আধিপত্য গড়ে তোলার স্বপ্ন বাস্তবায়িত করা বেশ কিছুটা চাপের মুখে পড়ে যাবে।
শিবসেনার সঙ্গে বিজেপির আদায়-কাঁচকলায় সম্পর্ক অবশ্য সর্বজনবিদিত। ফলে মহারাষ্ট্রে জোট ভাঙার আশঙ্কা এবং ইঙ্গিত টের পাওয়া গিয়েছিল আগে থেকেই। কিন্তু অন্ধ্রপ্রদেশেও একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে তা শাসক দলের জন্য কখনই বাঞ্ছনীয় হবে না। সম্প্রতি অন্ধ্রের বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে চরম সংঘাত শুরু হয়েছে তেলেগু দেশম পার্টির। ফলস্বরূপ দেশম পার্টির সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু মারাত্মক চটেছেন এবং রাজ্য বিজেপির উপর সরাসরি সীমা লঙ্ঘন করে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, প্রবল সংঘাত থাকা সত্ত্বেও টিডিপি নেতাদের সামলে রাখা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি তাঁদের নেতাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে অক্ষম।
প্রসঙ্গত, অন্ধ্রপ্রদেশে টিডিপির সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি সরকার। কিন্তু শেষ কয়েকমাস যাবত বিভিন্ন ইস্যুতে টিডিপির সঙ্গে অনমনীয় বিরোধীতা করা শুরু করেছে বিজেপি। এমনও অভিযোগ উঠছে যে, বিজেপি নেতারা নাকি ওয়াইএসআর কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন। সব মিলিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি রীতিমতো ঘোরালো আকার নিচ্ছে। এবং দিল্লির শাসক শিবিরের কপালে চিন্তার ভাঁজও ক্রমশ বেড়ে চলেছে।