মহানগর ডেস্ক: আগামী ২৭শে মার্চ থেকে করোনা আবহের মাঝেই পাঁচ রাজ্যে শুরু হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনের আগেই দেশে করোনা সংক্রমণ যেভাবে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে সেকারণে নির্বাচনের আগেই সকল ভোট কর্মী এবং ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্তদের করোনা টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা।
আর কিছুদিন পর থেকেই পুরোদমে কাজের নেমে পড়বেন ভোটকর্মীরা। ভোটের কাজে গিয়ে কোনও ভোটকর্মী যাতে করোনা আক্রান্ত না হন, সে কথা মাথায় রেখেই টিকাকরণের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ২৭শে মার্চের আগেই যাতে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজটি ভোট কর্মীরা পেয়ে যান, সেই ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে নিশ্চিত করতে বলেছে কমিশন।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর করোনার কারণে বাড়তি সতর্কতা-বিধি অবলম্বনের কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। করোনার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যাও। এবছর পাঁচ রাজ্য মিলিয়ে মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় দুই লক্ষ সত্তর হাজার, যা গত বারের তুলনায় প্রায় ৩০শতাংশ বেশি। করোনার কথা মাথায় রেখে পাঁচ রাজ্যের ক্ষেত্রেই অনলাইন নমিনেশন জমা দেওয়ার নতুন পদ্ধতিও চালু করেছে কমিশন।
এছাড়াও করোনার কথা মাথায় রেখে প্রচারের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলির ওপর নানান বিধিনিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারের ক্ষেত্রে কোনও রাজনৈতিক দলের পাঁচ জনের বেশি কর্মী যেতে পারবে না বলে জানিয়েছে কমিশন। এছাড়াও ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন।
অন্যদিকে নির্বাচন শুরু হওয়ার পূর্বে পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের দাবি করে কিছুদিন আগেই কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে রাজ্যবাসীকে যাতে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়া যায়, তার জন্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির থেকে টিকা কিনতে চায় রাজ্য। তার জন্য কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।