মহানগর ওয়েবডেস্ক: মুহুর্তের মধ্যে ১৮০ ডিগ্রি মোড় ঘোরায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার৷ আজ বন্ধুত্বে গদগদ তো কাল আবার কখন সেই বন্ধুর বিরুদ্ধে কী বলে বসবেন তা স্বয়ং তিনি নিজেই জানেন৷ ইনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ঠিক করতে কাশ্মীর ইস্যুর মধ্যস্থতায় তিনি বরাবরই রাজী৷ ভারত বারবার এই বিষয়টিকে দ্বিপাক্ষিক বলে জানালেও সেই কথার ধার ধারেন না ট্রাম্প৷ বুধবার সাংবাদিক বৈঠকের পরে, ট্রাম্প ফের বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুই প্রতিবেশী দেশই পরমাণু শক্তিধর। কাজেই নিজেদের মধ্যে ব্যাপারটা মিটমাট করে নেওয়াই ভালো।
হাউডি মোদীর মঞ্চে বন্ধু মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন তিনি৷ অনুষ্ঠানে শেষে পরের দিন রাষ্ট্রপুঞ্জে মোদীর বক্তৃতা শুনতে দৌড়ে গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু তারপরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি৷ সেখানে তাঁর ভাব এমনটাই ছিল যে ইমরান খানও তাঁর বেশ ভালো বন্ধু৷ সেদিনও ফের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি৷ এমনকী পারস্পরিক বোঝাপড়ার প্রস্তাবও রাখেন৷ বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় ট্রাম্প ফের বলেন, দুই রাষ্ট্রনেতার সঙ্গেই খুব ভালো আলোচনা হয়েছে আমার। দুই দেশের প্রতিই আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি আরও বলেন, দুই দেশের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, কাশ্মীর নিয়ে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমি মধ্যস্থতা করার কথাও বলেছি। আমার মনে হয় এই ব্যাপারটা খুবই স্পর্শকাতর। বোঝাপড়ার মাধ্যমে একটা সমাধান বার হতে পারে। এরপরই ভারত পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই পরমাণু শক্তিধর৷ তাই নিজেদের মধ্যে সবটা মিটমাট করে নেওয়া যেতে পারে৷
ভারত এর আগেও একাধিকবার জানিয়েছে কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু৷ তবে তা সত্ত্বেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বারবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব অস্ত্বস্তি বাড়াচ্ছে নয়াদিল্লির৷