নিজস্ব প্রতিনিধি, বালুরঘাট: নিজেদের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার জের। অপর গোষ্ঠীর লোকজনদের গ্রেফতারের দাবি বালুরঘাটে জেলা পুলিশের নিকট দাবি সনদ পেশ করল আদিবাসীদের সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগনা মহল’। বহু মানুষের ভিড়ে এদিন সামাজিক দূরত্ববিধি শিকেয় উঠল। আজ দুপুরের পর থেকেই বালুরঘাট শহরের বাইরের বিভিন্ন ছোট বড় গাড়িতে করে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে জড়ো হন সংগঠনের সদস্যরা। পরে সেখান থেকে তারা হাতে তির-ধনুক নিয়ে, ধামসা-মাদল বাজিয়ে মিছিল করে এসে জড়ো হন জেলা পুলিশ সুপার অফিসের নিকট বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দানে।
এদিকে, তিন বছর আগে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের আদিবাসীদের তাণ্ডবের বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা পুলিশের তরফে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখে জেলা পুলিশ। ব্যরিকেড দিয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। বালুরঘাট থানার গেট বন্ধ করে বিপুল সংখ্যক পুলিশকর্মীকে মোতায়েন রাখা হয়। এমনকী মালদা থেকে নিয়ে আসা হয় জলকামানের গাড়ি। এদিকে, হাজার হাজার আদিবাসী মানুষজনকে দেখে পুলিশের বেশ কিছু অফিসার ময়দানে নেমে তাদের অযথা উত্তেজিত হতে নিষেধ করেন। বুঝিয়ে শান্ত করে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে এক প্রতিনিধি দলকে জেলা পুলিশের কার্যালয়ের ভেতর দাবি সনদ পেশের জন্য নিয়ে যায়। শান্তিপূর্ণ ভাবেই দাবি সনদ পেশ করা হয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সারা ভারত জাকাত মাঝি পারগনা সংগঠনের জেলা সভাপতিকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ২৪ ঘণ্টা ধরে ওই সংগঠনের জেলা সভাপতিকে অকথ্য অত্যাচারও করা হয় বলে দাবি তাদের। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও সেই ঘটনায় দোষীদের পুলিশ এখনও চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি বলে আদিবাসী সংগঠনটির অভিযোগ। আর সেই কারণেই আজ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারের কাছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের বহু মানুষ মিছিল করে এসে ১২ দফা দাবিতে ডেপুটেশন দিল। তাদের দাবি, এই দাবিগুলি না মানা হলে তারা আগামী দিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবেন।