Highlights
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: ফের বড়সড় ভাঙন নদিয়া জেলা বিজেপিতে। এবার জেলার কল্যাণীতে বিজেপি ছেড়ে প্রায় তিন হাজার কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলে। এদিন নদিয়ার কল্যাণী ঋত্বিক সদনে নদিয়া জেলা তৃণমূল সভাপতি শঙ্কর সিং-এর হাত থেকে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন দলে যোগ দেওয়া ওই কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জীকে কৃতজ্ঞতাও জানান তারা।
যার নেতৃত্বে এই দলবদল হয়েছে তার নাম বিপ্লব দে। যিনি সমর্থকদের কাছে সজল দে নামে পরিচিত। সজলবাবু বিজেপি’র নদিয়া জেলার কিসান মোর্চার সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তিন হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে তিনি ও তার অনুগামীরা এদিন যোগ দিলেন তৃণমূলে। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় যুব সভাপতি অভিষেক ব্যানার্জীকে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন বিপ্লব দে।
আসন্ন পুরসভা নির্বাচনের আগে এতবড় বিজেপি শিবির অনেকটাই অস্বস্তিতে। লোকসভায় কল্যাণীতে নিজেদের জায়গা অনেকটাই হারিয়েছিল তৃণমূল। সেই কল্যাণীতে এদিন বিজেপি ছেড়ে এত কর্মী-সমর্থক দলে যোগ দেওয়ায় খুশি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, এই জেলায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র আছে। রানাঘাট আসনটি বিজেপি দখল করলেও, কৃষ্ণনগর আসনটি ধরে রাখতে পারে তৃণমূল। কিন্তু, কল্যাণী বিধানসভা আসনটি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ লোকসভার অধীনে। মতুয়া অধ্যুষিত এই আসনে বড় ব্যবধানে হারে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের নিরিখে বিজেপি’র কাছে কল্যাণীতে পিছিয়ে আছে তৃণমূল। বিজেপি ভাল সংগঠন এখানে না গড়ে তুলতে পারলেও লোকসভা ভোটের নিরিখে এখানে তারা বেকায়দায় ফেলে তৃণমূলকে। তৃণমূল সেই হারানো জমি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এদিন বিজেপি’র নদিয়া জেলার কিসান মোর্চার সভাপতি বিপ্লব দে-কে বহু অনুগামী-সহ দলে টানতে পেরে তৃণমূল লাভবান হল বলে মনে করছেন জেলা নেতারা।