ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কাসগঞ্জে শুরু হওয়া সংঘর্ষ এখনও অব্যাহত। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন থেকে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল সময়ের সঙ্গে তা আরও বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন জায়গায় আগুন লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও সামনে এসেছে। গাড়ি থেকে শুরু করে দোকান, সবকিছুতেই আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে বিক্ষোভকারীরা। ফলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। পুলিশি পাহারা সত্ত্বেও কীভাবে বারবার এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
এহেন পরিস্থিতিতে গত দু’দিন ধরে এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ইতিমধ্যেই ৪৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কাসগঞ্জের সীমান্ত সিল করে এলাকায় জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। একই সঙ্গে অভিযোগের আঙুল উঠেছে হিন্দু সংগঠনের দিকেও, তারা সংখ্যালঘু এলাকায় বাইক মিছিল করার জন্যই এই সংঘর্ষ ছড়ায়। জেলাশাসক আরপি সিং বলেছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফেরাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছে প্রশাসন। এলাকায় বাড়তি পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এবং হিন্দু পরিষদের তেরেঙ্গা যাত্রা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বলে অভিযোগ। এই দুই সংগঠনের উপর এমনও অভিযোগ ওঠে যে তারা নাকি মিছিল থেকে আপত্তিজনক স্লোগান দেয়। এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ানোর পর চন্দন নামের এক ১৬ বছরের কিশোরের মৃত্যু হয়। গতকাল সেই কিশোরের অন্তিম সংস্কারের পর ফের হিংসা ছড়ায়। ঘটনায় রীতিমতো মুখ পুড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের।