নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তর ২৪ পরগনা: পুরভোটের আগেই উত্তপ্ত বারাসত। দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল তৃণমূল ও বিজেপি। শনিবারের পর রবিবারেও উত্তেজনা। ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে পুলিশ।
বারাসাত পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাপ বারাসাতের কালিকাপুর। তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে স্থানীয় পৌরপ্রতিনিধি সোমেন আচার্যের অভিযোগ, শনিবার বিজেপি কর্মীরা দখল করে তৃণমূলের দেওয়াল। তৃণমূলের প্রচারের দেওয়াল বিজেপি ঘেরাও করে নিজেদের প্রচারের জন্য রঙ করছিল বলেও দাবি করেন। তা নিয়েই দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২ জন। অভিযোগ, রবিবার সকালে বিজেপি কর্মীরা বাহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় এসে ঝামেলা করতে থাকে। তৃণমূলের দাবি, মানুষ তাদের তাড়িয়ে দেয়। বিজেপি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর চ্যাটার্জির পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল দেওয়াল দখল করেছে বিজেপির। বিজেপি কর্মীদের দেওয়াল লিখতে দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, জোর করে সমস্ত দেওয়াল দখল করেছে রাজ্যের শাসক দলের নেতাকর্মীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, মানুষ সমস্ত কিছুই দেখছে তাই নির্বাচনে ভোট পাবে বিজেপি।
পুরভোটের দামামা সে অর্থে বেজে ওঠার আগেই পুরভোটের প্রচারে দেওয়াল লেখাকে ঘিরে শনিবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসাত পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। সম্মুখ সমরে জড়ায় তৃণমূল ও বিজেপি। সংঘর্ষে জখম এক বিজেপি কর্মীকে বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, দেওয়াল লিখতে গিয়ে তাদের কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল সমর্থকদের দ্বারা প্রহৃত হয় যদিও তৃণমূল উত্তেজনা সৃষ্টির যাবতীয় দায় চাপিয়েছে বিজেপির ওপরে।
শনিবার পূর্ব বারাসাতে দেওয়াল লেখাকে কেন্দ্র করে দুই যুযুধান পক্ষ জড়িয়ে পড়ে হাতাহাতিতে। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মী সমর্থকদের একচেটিয়া ভাবে মারধর করে শাসক দলের সমর্থকরা। বিজেপির অভিযোগ, তাদের কর্মী সমর্থকরা দেওয়াল লেখার জন্য চুনকাম করতে গেলে আচমকা তৃণমূলের বাহিনী তাদের ওপরে চড়াও হয়। অভিযোগ, তৃণমূলের সাত আট জনের সমর্থক প্রথমে তাদের ওপরে চড়াও হয় প্রথমে। পরে আরো তিরিশ জন এসে আক্রমণকারীদের সঙ্গে যোগ দেয় বলেও অভিযোগ। অমিত চৌধুরী নামে বিজেপির এক সমর্থক গুরুতর আহত হন বলে বিজেপি পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। তৃণমূল পাল্টা দোষ চাপিয়েছে বিজেপির ওপর। অভিযোগ, বহিরাগত এনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। জোড়াফুল শিবিরের দাবি, যে দেওয়াল লেখা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় সেই দেওয়ালে তৃণমূলের প্রতীক ছিল। বিজেপি থেকে এই অভিযোগ খারিজ করে বলা হয়েছে, টিএমসির চিহ্ন থাকা কোনো দেওয়ালের দিকে বিজেপির নজর ছিল না। পায়ের তলায় মাটি হারানোর ভয়েই হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বারাসাত থানার পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মারধর করার অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মী সমর্থকরা যদি বিজেপিকে মারধর করত তাহলে বিজেপি ঘটনাস্থলেই পুলিশে অভিযোগ করত। অভিযোগ, বিজেপি তা করেনি। পরে গল্প ফাঁদছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, বারাসাত থানা প্রাথমিক ভাবে শনিবার তাদের অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি।