
মহানগর ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ। রণক্ষেত্র দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর অঞ্চল। জমি বিবাদ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মৃত্যু গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালিপদ সরকারের। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকি সঞ্জিত সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মীরও মাথায় গুলি লাগে। সঙ্গে সঙ্গে গুলিবিদ্ধ সঞ্জিত সরকারকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে এলাকা দখল নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোল শুরু হয়। এলাকা কার দখলে থাকবে সেই নিয়েই শুরু হয় মারামারি। সেইসময় ব্যাপক বোমাবাজি, গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে স্থানীয়দের দাবি।

এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিসবাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। ইতিমধ্যে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিস। যদিও পুলিসের তরফে দাবি করা হয়েছে, হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে নাকি মৃত্যু হয়েছে কালিপদ সরকারের। সবমিলিয়ে তাঁর মৃত্যুর কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা ছড়িয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতার দাবি, এর পিছনে বিরোধী দলের হাত থাকতে পারে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কালিপদ সরকারের মৃত্যুর যোগ আছে কিনা সে বিষয়ে তিনি জানেন না। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। এর সঙ্গে বিজেপির যোগ নেই।