ডেস্ক: ভোটের এখনও অনেক বাকি। তবে যুদ্ধের আগেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম জারি রয়েছে রাজ্যজুড়ে। তবে তার আগেই বিরোধীদের এক ফোঁটা জমি না ছেড়ে বীরভূমে জয় হাসিল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় পাত্র অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টবাবু। সবে শেষ হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন জমা দেওয়া। তার মাঝেই বিজয় উৎসবে মেতে উঠল গোটা বীরভূমের তৃণমূল সমর্থকরা।
উল্লাস হবে না কেন? হিসেবে দেখা গিয়েছে বীরভূমের মোট ৪২ টি জেলা পরিষদের মধ্যে ৪১ টিতেই কোনও প্রার্থী দেয়নি বিরোধীরা। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিরোধী শূন্য ৪১ টি আসনের দখল এখন থেকেই নিয়ে নিয়েছে তৃণমূল। ঠিক একই রকমভাবে ১৯ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১৪ টিতে জয় পেয়েছে ঘাসফুল। ঠিক একই চিত্র দেখা গিয়েছে পশ্চিমবর্ধমানেও। বারাবনীর ২ টি পঞ্চায়েত সম্পূর্ণ বিরোধীশূন্য। ২১ টি পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ১২ টি তে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। এই সব জায়গাগুলিতে এখন থেকেই শুরু হয়েছে উৎসব। চলছে আবির খেলা থেকে মিষ্টি মুখ।
তবে এই ঘটনার জন্য শাসক দল তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ বিরোধীদের পেশিশক্তি ও গুন্ডাবাহিনীর কাছে পরাস্ত হয়েই প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধীরা। তবে বিরোধীদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ নাচক করে দিয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি বলেন আজ সকালে আমি নিজে বলেছিলাম, ‘কোনও বিরোধী প্রার্থী যদি ভোটে দাঁড়াতে চান, মনোনয়ন দিতে চান, তাহলে আমি গাড়ি করে পৌঁছে দিয়ে আসব। কেউ যদি না আসে সেটা কি আমার দোষ? পাগলে কিনা বলে, আর ছাগলে কিনা খায়।’ তাঁর কথায় এইসব তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ফল। রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে।’