ডেস্ক: টানা হিংসা, একের পর এক মৃত্যু, জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের কাছেই কোনঠাসা পাকিস্তানে আজ সংগঠিত হচ্ছে একাদশতম জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন পূর্বে যেভাবে পাকিস্তান রক্তাক্ত হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি যাতে এদিন না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৩ লক্ষ ৭১ হাজার পাক সেনা জওয়ান। এছাড়াও সমস্ত নিরাপত্তাবাহিনী মিলিয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৮ লক্ষ নিরাপত্তাবাহিনী।
পাক সাধারণ নির্বাচনে এবারের মূল লড়াই নওয়াজ শরিফের দল মুসলিম লিগের সঙ্গে তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের ইমরান খানের। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আড়ে বহরে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে ইমরান খানের দল। পাকিস্তানবাসীও ইমরান খানের উপর আস্থা রেখে নতুন পাকিস্তান গড়ার স্বপ্নে মজেছেন। এছাড়াও এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা আসিফ আলি জারদারি, বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। জানা গিয়েছে এদিন সকাল ৮ টা থেকে শুরু হয়েছে নির্বাচন, চলবে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত। পাকিস্তানের মোট ২৭২ টি আসনে ভোট দাতার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। তবে পাকিস্তানে ২৭২ টি আসনে ভোট হলেও পাক জাতীয় আইনসভার মোট আসন সংখ্যা ৩৪২। ম্যাজিক ফিগার ১৭২। ক্ষমতা দখলের জন্য ১৩৭টি আসন পেলেই চলবে।
সবমিলিয়ে পাকিস্তানের এই নির্বাচনের দিকে নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বারে বারে অভিযোগ গণতন্ত্রের ধুয়ো তুললেও, আদতে পাকিস্তানে দেশ চালায় পাক সেনা। পাকিস্তানের এই নীতি উঠে যাবে, নাকি এতকাল ধরে চলা পাক চিত্রটা একি থাকবে সেটাই এখন দেখার।