মহানগর ওয়েবডেস্ক: নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১২দিন অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত টলিপাড়াতে বন্ধ শ্যুটিং। গতকাল নন্দনে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি ও ইম্পার সভাপতির উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আজ অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে করোনার জেরে পুরোপুরি বন্ধ রাখা হচ্ছে টলিপাড়ার সমস্ত ধারাবাহিক ও রিয়্যালিটি শোয়ের শ্যুটিং। তাই সকলের কপালেই রয়েছে চিন্তার ভাঁজ। শ্যুটিং হবে না কিন্তু চ্যানেল তো আর বন্ধ থাকবে না। অর্থাৎ সব ধারাবাহিকেরই আগামী ১২ দিনের ব্যাঙ্কিং চাই।
যাতে ধারাবাহিকের সম্প্রচারে কোনও ক্ষতিগ্রস্থ না হয় তাই ১৭ মার্চ সারা রাত কাজ চলেছে কলকাতার টেলিপাড়ায়। এমন অবস্থায় আগে কখনও পড়েনি কেউই। গতকালই জানা যায়, ১২ দিন পর অর্থাৎ ৩০ মার্চ নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা নিয়ে রিভিউ মিটিং-এর পর টলিপাড়ায় শ্যুটিং নিয়ে বাকি সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানা গিয়েছে। যে সব ধারাবাহিক সপ্তাহে সাতদিন সম্প্রচার হয়, সেই সব ইউনিটে তাই সারা বছরই এপিসোড ব্যাঙ্কিংয়ের চাপ থাকে। করোনা সতর্কতায় টালিগঞ্জের সমস্ত শ্যুটিং বন্ধ রাখার নির্দেশিকায় তাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এখন টেলিজগৎ।
অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ১৮ মার্চ ভোরে সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন তাঁদের রাতভর শ্যুটিংয়ের ছবি। কোথাও কোথাও আলো ফুটে যাওয়ার পরেও চলেছে শ্যুটিং। তবে নির্দেশিকা মতে, ১৮ মার্চ সকাল থেকেই অর্থাৎ সকাল ৮টা থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে সমস্ত শ্যুটিং। রাতভর শ্যুটিং হলেও এবার নতুন চ্যালেঞ্জ বিনোদন চ্যানেলগুলির। কারণ আগামী ১০-১২ দিনের এপিসোডগুলি এডিট করে তৈরি করতে হবে, হাতে শুটিংয়ের যা ব্যাঙ্কিং রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই। স্টার জলসা, কালারস বাংলা-সহ বিনোদন চ্যানেলগুলির অফিসেও জারি হয়েছে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’। শুধুমাত্র ফাংশনস ডিপার্টমেন্ট ছাড়াই বাকি সব ডিপার্টমেন্টের কর্মীরাই বাড়ি থেকে কাজ করবেন পরবর্তী নোটিস না পাওয়া পর্যন্ত।