ডেস্ক: ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেই বৈপ্লবিক কায়দায় কাজ শুরু করে দিয়েছেন বিপ্লব কুমার দেব। দীর্ঘ বাম শাসনের অবসানের পরই শপথ মঞ্চে বিপ্লব বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী নয়, ঘরের ছেলের মতো দেখতে তাঁকে। এমনকি তিনি এও বলেন, ভুল করলে কান ধরে তাঁর ভুল শুধরে দেওয়ার জন্য। বিগত ছ’মাসে ত্রিপুরায় দু’জন সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন বিপ্লব।
ক্ষমতায় আসার পরুই ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসী যে তাঁর দিকে গভীর প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন তা ভাল করেন জানতেন বিপ্লব। সেইমতো কুর্সিতে বসে প্রথমদিনই জানান, সপ্তম পে কমিশন লাগু করার জন্য একটি কমিটি গঠনের ডাক দিয়েছেন তিনি। চড়িলাম বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটপর্ব না শেষ হওয়ার কারণে বিষয়টি নিয়ে আর কোন তথ্য দেওয়া হয়নি। এছাড়াও, আগরতলা বিমানবন্দরের নাম ত্রিপুরার প্রাক্তন মহারাজা বীরবিক্রম রাধাকিশোর মানিক্যের নামে পরিবর্তন করার প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। অন্যদিকে, ভোটপূর্ব ত্রিপুরায় মর্মান্তিকভাবে হত্যা করা হয়েছিল দুই সাংবাদিককে। হত্যাকাণ্ডগুলির এখনও সুরাহা না হওয়ায় তার তদন্তভার সিবিআই-এর হাতে তুলে দিলেন বিপ্লব দেব।
উল্লেখ্য, গৌরি লঙ্কেশের হত্যার পর ত্রিপুরার দুই সাংবাদিক শান্তনু ভৌমিক ও সুদীপ দত্ত ভৌমিকের হত্যাকাণ্ড শোরগোল ফেলে দেয় দেশজুড়ে। নিহত সাংবাদিকদের পরিবারের দাবি ছিল সিবিআই তদন্তের। বাম আমলে সেই দাবি পূরণ না হলেও ক্ষমতায় এসেই যুগান্তরকারি পদক্ষেপ নিয়ে কাজটি করে ফেলেছেন বিপ্লব।