ডেস্ক: চিংড়িঘাটা বাস দুর্ঘটনার ৭২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের শহরে বাসের বলি আরও দুই। প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে বাঙ্গুরে। সোমবার সকালে বাসের চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বছর ৬৫-র প্রৌড়া উষা দাসের। দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে সোনারপুর রাজেন্দ্রপাড়ায়। সেখানে আজ সকালে কর্তব্যরত অবস্থায় ট্রাকের তলায় পড়ে মৃত্যু হয় সোনারপুর থানার এসআই রাজেশ দাসের। দুটি ঘটনায় ঘাতক লরি ও বাসটিকে আটক করেছে পুলিশ।
বাঙ্গুরের কয়েকটি বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন উষাদেবী। আজও নিয়মমাফিক কাজে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কাজে গিয়ে আর পৌঁছান হল না তাঁর। রাস্তা পেরনোর সময় আচমকাই তাঁকে ধাক্ক মারে ৪৪ নম্বর বাস। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তাঁর কোমরের উপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন চালক। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উষাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। এদিকে এই ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। ওই বাসের যাত্রীরা চালককে আটকে রেখে মারধর করেন এবং বাসে পাথর ছোঁড়েন। খবর পেয়েই কিছুক্ষণ পরে ঘটনাস্থানে এসে চালককে আটক করে লেকটাউন থানার পুলিশ।
অন্যদিকে আজ সকালেই এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে ট্রাকের তলায় এসে প্রাণ খোয়াতে হয় সোনারপুর থানার এসআই রাজেশ দাসকে (৪৫)। আজ সকাল সাতটা নাগাদ বাইকে করে কাজে যাওয়ার সময় এক মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তায় কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম ছিল। আচমকা ব্রেক কষার ফলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান ও পিছন দিকে আসা ট্রাক তাঁকে চেপে দিয়ে চলে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাজেশবাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।