ডেস্ক: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই এনডিএ ছেড়েছেন অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শুধুই চন্দ্রবাবু নন, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ আচরণের অভিযোগ এনেছেন তেলেঙ্গানা কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিও। এরই মাঝে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে এবার বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তামিলনাড়ুর ডিএমকের কার্যকারী সভাপতি এম কে স্টালিন। এদিন তিনি বলেন, ‘দক্ষিণের রাজ্যগুলি যদি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার দাবি জানায় তবে তাঁকে সমর্থন করবেন তিনি। শুধু তাই নয় খুব শীঘ্রই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি।
এই ধরনা যে শুধু ডিএমকে নেতা স্টালিন পোষন করেন তাই নয়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে দক্ষিণের বাকি রাজ্যগুলি। এর আগে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দেরামাইয়া, অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডু, ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও একযোগে অভিযোগ আনেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সিদ্দেরামাইয়া স্পষ্ট অভিযোগ আনেন, ‘দক্ষিণী রাজ্যগুলির ভর্তুকি দেওয়া অর্থে চলে উত্তরের রাজ্যগুলি। দক্ষিণের রাজ্যগুলি জন্মহার নিয়ন্ত্রণ রেখে উন্নয়ন এনেছে, কিন্তু এই উন্নয়নের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক কোনও ভাতা দেয় না কেন্দ্র। কেন্দ্রকে টাকা যোগায় দক্ষিণ কিন্তু বদলে কেন্দ্রের থেকে কিছুই পায় না রাজ্য। ঠিক এর পরেই এবার এক সমাবেশে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে স্টালিন বলেন, ‘যদি সত্যি দক্ষিণের রাজ্যগুলি আলাদা হতে চায়, তবে রাজ্যগুলির এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে ডিএমকে। এবং খুব শীঘ্রই এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে বলেও আসা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই প্রথম নয়, দক্ষিণী রাজ্যগুলিকে আলাদা করার দাবি ডিএমকের বহুদিনের। ১৯৪৯ সালে ডিএমকে প্রতিষ্ঠিত হয় দ্রাবিড়নাড়ু রাষ্ট্রের দাবীতে। সেবার তাঁদের দাবি ছিল, দক্ষিণ ভারতীয়রা উত্তর ভারতীয়দের তুলনায় জিনগত ভাবে আলাদা। তাই তাঁদের আলাদা রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া হোক। তবে ইন্দো-চিন যুদ্ধের সময় সাময়িকভাবে পিছু হঠে তাঁরা। তাঁদের জিনগত বিভাজনের দাবিও মিথ্যে বলে প্রমানিত হয়। তবে তাঁদের পুরানো সেই দাবি আবার নতুন করে তুলে ধরল ডিএমকে।