ডেস্ক: প্রতিদিনই একাধিক সভার মাধ্যমে প্রচারের ঝড় তুলছেন মমতা। উত্তরবঙ্গ সেরে এখন দক্ষিণে তিনি। এদিন হুগলীর শ্রীরামপুরে নির্বাচনি সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। ভোটের ভাষণের সারবত্তা একই থাকলেও আলাদা করে কিছু চমক থাকছে তাতে। এদিন যেমন ছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফোন ট্যাপিং-এর অভিযোগ। যা অবশ্যই নতুন নয়। কিন্তু সেই অভিযোগের কথা বলতে গিয়ে নিজের ‘দুষ্টুমি’র গল্প শোনালেন মুখ্যমন্ত্রী। যা শুনে হাসির রোল ওঠে সভায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে।
মোবাইলে বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার কার্ড লিঙ্ক করা নিয়ে যেসব রাজনৈতিক নেতারা দেশজুড়ে সরব হয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মধ্যে অন্যতম। এদিনের সভাতেও সেই প্রসঙ্গ উঠতেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চড়া সুরে তোপ দাগেন মমতা। বুধবার শ্রীরামপুরের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর ফোনের সব কথাবার্তা ট্যাপ করে নেওয়া হচ্ছে। বলেন, ‘আমার ফোন পুরো ট্যাপ করে জানেন তো। আমি যাই কথা বলি টোটালটাই ট্যাপ করে। আমি যা কথা বলি সব শুনে নেয়। কিন্তু আমিও তো দুষ্টু কম নই। ওরা আমাকে আর কী জব্দ করবে।’ এরপরই পাল্টা জব্দ করার উপায় বাতলে একটি মজার গল্প বলা শুরু করেন তিনি।
তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘আমিও তো কম দুষ্টু নই। ধরুন আমি হয়তো A-কে চিনি, তাঁর নাম হচ্ছে অবনী। আমি তার নাম কী দিই বলুন তো? তার নাম আমি দিই অনাহুত। আমার একটা খুব পরিচিত মেয়ে আছে যার নাম আশা। আমি তাঁর নাম দেই ভিক্টোরিয়া। ফোনে এসব লিখি জানেন? মাঝে মাঝে খুঁজে পাই না নামগুলো। আমি ভুলেও যাই। কী করব বলুন…না হলে সব তুলে নেবে।’
নরেন্দ্র মোদীর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র নামে ফোন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযুক্তিকরণের বিরোধিতা আগাগোড়া করে এসেছেন মমতা। এদিনের সভাতেও মমতার ভাষণে সেই কথাই বারবার করে উঠে আসে। অভিযোগ করে বলেন, তাঁর ফোন ট্যাপিং এর জন্য তিনি কিছুতেই কোনও কথা বলতে পারেন না। গোটা ঘটনায় তিনি মোদী সরকারের দিকে তোপ দাগেন। বলেন, ‘আপনারা ভাবছেন ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কিনছেন কেউ জানছে না। সব যোগ করছে। এরা বদমাশ। সব অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’