নিজস্ব প্রতিনিধি: লক্ষ্য ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেকায়দায় ফেলা। তাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে তাঁকে লক্ষ্য করে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। অন্তত এমনটাই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেকায়দায় ফেলতে গিয়ে উলটে বেকায়দায় পড়ে গিয়েছে বিজেপি। হাইপ্রোফাইল সরকারি অনুষ্ঠানে এভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া যে একেবারেই ভাল কাজ হয়নি, তা এখন বলতে শুরু করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা। আবার অনেক নেতা এতে দোষের কিছু দেখছেন না। তাদের মধ্যে দিলীপ ঘোষ, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত মালব্যর মতো নেতারা আছেন।
অন্যদিকে, বেশ কয়েকজন নেতা দলের অভ্যান্তরে এই নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে দিয়েছেন। তাদের দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে এভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া উচিত কাজ হয়নি। এই কাজে খুশি নয় সংঘ পরিবারও। হিন্দুত্বের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মনে করছে সংঘ। সেদিনের ঘটনার পেছনে কার কার হাত ছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পেছনে দুই যুবনেতার হাত থাকতে পারে। এবার এই ঘটনা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ঘটনা এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে।
এই স্লোগান-কাণ্ডে সংঘ পরিবার রুষ্ট হওয়ায় নড়েচড়ে বসতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি জাতীয় নেতৃত্ব। আর সংঘের এমন মনোভাব দেখে রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। রিপোর্টে তিনি জানতে চেয়েছেন, সেদিন ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়ার পেছনে কে বা কারা ছিলেন। এর পেছনে কোনও পরিকল্পনা ছিল কিনা, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।
স্থান-কাল-পাত্র না দেখে এভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়ার ঘটনা যে বিজেপি’র কাছে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে, তা তারা আঁচ করতে পারেনি। এই ঘটনার পর বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মানুষজন। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব তাই রাজ্য বিজেপির কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। এখন দেখার রিপোর্টে কাদের কাদের চিহ্নিত করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে কী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।