Highlights
|
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: স্বামীকে ফিরে পেতে ধর্নায় বসলেন স্ত্রী। গত সোমবার থেকে নিজের স্বামীকে ফিরে পেতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন এক যুবতী। জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ৮ বছর ধরে প্রেমের পর ওই যুগল ২ বছর আগে রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে বিয়ে করেন। মেখলিগঞ্জ ব্লকের ফুলকাডাবরি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় বাড়ি কিরণ রায়ের। ব্রততী রায় নামে ওই যুবতীর বাড়িও সেখানে। তাদের এই বিয়ে নিয়ে কিরণের বাড়িতে আপত্তি ওঠে।
আইনি বিয়ে করলেও তাদের এই সম্পর্ককে মেনে নেয়নি কিরণের পরিবার। ফলে ব্রততীর বাড়ির লোকজন মাস তিনেক আগে তাদের সামাজিক মতে বিয়ে দেন। বিয়ের পর নিজের অধিকার অর্জনে স্বামী কিরণের বাড়িতে গেলে মারধর করে ব্রততীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি জোর করে কিরণকে পরিবারের লোকজন অন্যত্র সরিয়ে রাখেন। বিতর্ক শুরু হতেই স্থানীয় প্রধানকে নিয়ে একটি আলোচনা করে কয়েক দিনের মধ্যে পুনরায় তাদের বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন কিরণের বাবা-সহ তার পরিবার। কিন্তু দীর্ঘ ৩ মাস কেটে গেলেও কোনও কিছু হয়নি। পাশাপাশি কিরণ এখন যোগাযোগ করছে না ব্রততীর সঙ্গে। তাই স্বামীকে ফিরে পেতে গত সোমবার ধর্নায় বসেন ব্রততী। মঙ্গলবার সেই ধর্নাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য দেখা দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে ক্লাবের ছেলেরা এবং দুর্গা বাহিনী মিলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে কিরণের বাড়ির সামনে। বিক্ষোভে বাড়ির টিনের বেড়া ভেঙে যায়। তাতে বেশ আঘাত পান কিরণের মা ও ব্রততী। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ। কিরণের মা-কে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। অন্যদিকে, রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ ব্রততীর ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে কিরণের পরিবারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে ব্রততীকে উদ্ধার করে মেখলিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।