ডেস্ক: বয়স সাতশোর কিছু বেশী। এই দীর্ঘ জীবনকালে ভারত ইতিহাসের বহু ঘটনার সাক্ষী তিনি। দেখেছেন ঐতিহাসিক নানান উত্থান পতন। শৈশব, যৌবন পেরিয়ে আজ বার্ধক্য ঘিরে ধরেছে তাঁকে। এককালে যে শরীরে যৌবনদীপ্ত উচ্ছ্বাস ফুটে উঠত আজ তা জরাজীর্ন। বৈশাখের দুপুরে যায় ছায়ার শান্তি খুঁজেছে ক্লান্ত পথিক সেই শরীর জুড়ে এখন রোগের বাসা। কৃতজ্ঞতা বোধ ও আত্মিক টানের তাগিদে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অতি প্রাচীন সেই বটগাছকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিল তেলেঙ্গানাবাসী। আর তাঁদের সেই উদ্যোগে এগিয়ে এল বনদপ্তরও। সর্ব শরীরে স্যালাইন দিয়ে অতিপ্রাচীন এই বট গাছের চিকিৎসায় এগিয়ে এল স্থানীয় মানুষ থেকে বনবিভাগের সবাই।
তেলেঙ্গানার মাহবুবনগর, এই এলাকার অন্যতম আকর্ষণ সাতশো বছরের পুরানো প্রাচীন এই বটগাছ। প্রায় তিন একর জায়গাজুড়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বটগাছ পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু দিনে দিনে উইপোকার ঘাঁটি হয়ে উঠেছে এই গাছ। যার ফলস্বরুপ শুকিয়ে যাচ্ছে তার ডালপালা। স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে গাছটিকে পরিদর্শনে যান স্থানীয় জেলা শাসক। সব দেখেশুনে তিনি গাছটির যত্ন নেওয়ার নির্দেশ দেন কর্তৃপক্ষকে। তারপর থেকেই শুরু হয় গাছটির চিকিৎসা। গাছটির সর্বশরীরে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। গাছটি যাতে ভেঙে না পরে তার জন্য চারিপাশ থেকে কংক্রিটের ঠেস দেওয়া হয়। ওষুধের মাধ্যমে উইপোকা নষ্ট করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, তেলেঙ্গানায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ এই বিশাল বটবৃক্ষ। তেলেঙ্গানায় ভ্রমণ ওয়েবসাইটেও আলাদা জায়গা নিয়ে রয়েছে এই গাছ। ওয়েবসাইটে ৬ হাজার রিভিউ রয়েছে এই গাছের, যার প্রত্যেকটিই Excelent। এখন প্রতিক্ষার, কবে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে নব কিশলয়ে সেজে উঠবে তেলেঙ্গানার অতি প্রাচীন এই জটাবুড়ো।