মহানগর ওয়েবডেস্ক: একদিকে ফিরছে স্বস্তি, অন্যদিকে ক্রমশ বাড়ছে উদ্বেগ। ঠিক যেদিন ইয়েস ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের রেহাই দিয়ে স্বাভাবিক পরিষেবা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সেদিনই কার্যত আইসিইউ-তে ঢুকতে বসেছে ভারতীয় শেয়ার বাজার। এই অবস্থায় ভারতীয় অর্থনীতির ধমনী শেয়ার বাজারকে বাঁচাতে জরুরি বৈঠকে বসছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
দিনকয়েক আগে আচমকাই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম বেসরকারি ব্যাঙ্কিং সংস্থা ব্যাঙ্কের লেনদেনের উপর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। ফলে আমানতকারীরা ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন। ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক কাজকর্মও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে এদিনই গ্রাহকদের নিশ্চিন্ত করে ইয়েস ব্যাঙ্ক জানিয়ে দেয়, আগামী বুধবার থেকে তারা পুরোদমে কাজ শুরু করবে। তবে টাকা তোলার ক্ষেত্রে এক মাসে নির্দিষ্ট সীমা এখনই কম করা হচ্ছে না। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোমবার শেষবেলায় ঊর্ধ্বমুখী হয় ইয়েস ব্যাঙ্কের শেয়ার।
তবে করোনার ভাইরাসের বিশ্বব্যাপী দ্রুত সংক্রমণের জেরে বিশ্ব বাজারে যে প্যানিক তৈরি হয়েছে, তার পরোক্ষ প্রভাব পড়েছে ভারতেও। দিনের পর দিন বাজার যেভাবে পতন দেখছে তা মারাত্মক উদ্বেগে ফেলেছে ভারতের শীর্ষ ব্যাঙ্ককে। ফলে এদিনই এক জরুরি বৈঠকে বসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মনে করা হচ্ছে, শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদের হার কিছুটা হলেও কমাতে পারে। যাতে বিনিয়োগকারীরা পুনরায় আস্থা ফিরে পান।
তবে এদিন সেনসেক্স যে হারে পতন দেখা যায়, তাতে উদ্বেগ আরও গভীর হয়েছে বিশেষজ্ঞদের। কেননা এদিন বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সেনসেক্সের সূচক নেমে যায় ৩১,৩৯০ পয়েন্টে। পতন দেখা যায় ২,৭১৩ পয়েন্টের। নিফটির দশা আরও খারাপ। ৬৬২ পয়েন্ট নেমে নিফটি চলে আসে ৯,২৯৩ পয়েন্টে। এই অবস্থা থেকে শেয়ার বাজারকে পুনোরুদ্ধার করাই এই মুহূর্তে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে।