নিজস্ব প্রতিনিধি: একটি-দুটি নয়। একেবারে আঠারো জন মহিলাকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক সিরিয়াল কিলারকে। হায়দরাবাদে ঘটেছে এই ঘটনা। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে একধিক মামলা রুজু করেছে পুলিশ। এই হাড়হিম করা ঘটনা সামনে আসতেই তাজ্জব বনে গিয়েছে পুলিশ।
কেন এতগুলো খুন করেছে ওই ব্যক্তি? কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তাতে হাড়হিম করা তথ্য সামনে আসছে। জানা গিয়েছে, মাত্র ২১ বছর বয়সে বিয়ে হয়েছিল ওই তরুণের। কিন্তু সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। কিছুদিনের মধ্যেই তার স্ত্রী অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে যান। তারপর থেকে ওই যুবকের মনে অদ্ভুত এক ঘৃণার সৃষ্টি হয়। পেশায় শ্রমিক ওই যুবক এরপর একাকী মহিলাদের দিকে নজর দিতে শুরু করে। টাকার বিনিময়ে তাদের যৌনতার প্রস্তাব দিত সে। যারা রাজি হত, তাদের সঙ্গে মদ্যপান করত সে। এরপর সেই মহিলাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ত। নৃশংস ভাবে তাদের খুন করত সে। এই ভাবে সে ১৮ জন মহিলাকে খুন করেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করছে পুলিশ।
২০০৩ সালে অপরাধের দুনিয়ায় প্রবেশ করে ওই তরুণ। এখন তার বয়স ৪৫ বছর। দু’জন মহিলার খুনের মামলায় তাকে খুঁজছিল পুলিশ। অনেক চেষ্টার পর তার নাগাল মেলে। হায়দরাবাদ সিটি পুলিশের টাস্কফোর্স এবং রাচাকোণ্ডা কমিশনারেটের পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। হেফাজতে নিয়ে তদন্তের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার এই কীর্তির কথা জানতে পেরেছে পুলিশ। এমন ঘটনা জানাজানি হতে সবাই তাজ্জব বনে গিয়েছেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ায় একজনের মধ্যে যে এতটা রাগ জন্মাতে পারে তা, ভাবতে পারছে না পুলিশ। আর সেই রাগের ফলশ্রুতি হিসেবে পরপর এতজন মহিলাকে খুনের ঘটনা আরও অবাক করেছে পুলিশকে। এই যুবকের কীর্তি অনেকটাই মিলে যায় চার্লস শোভরাজের সঙ্গে। আপাতত তাকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।