Highlights
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের পক্ষে-বিপক্ষের লড়াই উঠে এল বিয়ে বাড়িতে। মাস খানেক আগে উলুবেড়িয়ায় এক বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। নো এনআরসি, নো এনপিআর, নো ক্যা লেখা আশীর্বাদীর তত্ত্বে বরপক্ষ পাঠিয়েছিল কনে পক্ষের কাছে। এবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিয়ের কার্ডে অভিনব প্রচার করলেন ঝাড়গ্রামের ভাণ্ডার এলাকার বাসিন্দা শেখর দুবে।
আগামী ১৩ মার্চ শেখরের বিয়ে। সেই উপলক্ষ্যে নিমন্ত্রণপর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর সেইখানেই চমক দিয়েছেন ওই যুবক। সংশোধিত নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনের জন্য নিজের বিয়ের কার্ডকেই বেছে নিয়েছেন তিনি। কার্ডের অপরেই বড়বড় অক্ষরে লেখা ‘বিয়েতে অনুপ্রবেশকারী নেই, কিন্তু দেশে আছে! তাই দরকার NRC, CAA, NPR।’
সেখানেই অবশ্য ইতি নয়। কার্ডের ভিতরেও রয়েছে একাধিক সিএএ সমর্থনে উক্তি। একেবারে পরিচিতি অংশের ওপরে লেখা, ‘বিয়ে হোক কিংবা বসবাস, সঠিক নথি দেখিয়ে। রেজিস্ট্রেশন কিন্তু মাস্ট, চলুন দেশের পাশে দাঁড়াই, চলুন আমরা কাগজ দেখাই। Say yes to NPR, CAA, NRC।’ অন্য অংশে পুনরায় লেখা, ‘বিয়েতে অনুপ্রবেশকারী নেই, কিন্তু দেশে আছে! তাই দরকার NRC, CAA, NPR।’
বিয়ের কার্ডে হঠাৎ করে এই NRC, CAA বা NPR নিয়ে প্রচার কেন, সেই প্রসঙ্গে পাত্র শেখর দুবে জানান, ‘আমি নিজে একজন ভারতীয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে পড়ে আমার মনে হয়েছে এই আইনকে সমর্থন করা উচিত। তবে আমি রাজনীতি করি না। ফলে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমার নাম যোগ করা উচিত হবে না। আর বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষ আসেন। ফলে অনেক মানুষের কাছে একসঙ্গে কোনও বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়। সেই কারণেই বিয়ের কার্ডে এই সমর্থন বার্তা দেওয়া সিদ্ধান্ত নিই।’
আরও পড়ুন: এবার বিয়ের আমন্ত্রণপত্রেও চলে এল এনআরসি-সিএএ, অভিনব কার্ড পাত্রের তরফে
যদিও এর জন্য বেশ বিরোধিতার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে বলে জানান শেখরবাবু। ‘আমি সিএএ সমর্থন করি। আবার অনেকেই করেন না। সমর্থন করাটা যেমন আমার অধিকার, তেমন প্রতিবাদ করাটাও অধিকার। কিন্তু আমার বিয়ের কার্ডের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পরেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে। অশ্রাব্য ভাষায় কটূক্তি করছেন অনেকেই। সেটা হয়তো ঠিক হচ্ছে না। যদিও সেসব নিয়ে আমি খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছি না’, বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই একইভাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে শ্যামপুরের বর কনে বসেছিলেন বউ ভাতের অনুষ্ঠানে। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘আমার মাটি আমার দেশ, মানবো না কোন অনুপ্রবেশ’। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে লোকেদের সচেতনতা বাড়ানোর বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ। সে জন্য তারা বিয়েবাড়ির মতো এই সামাজিক অনুষ্ঠানকে কাজে লাগাচ্ছেন। উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা সমীর শাসমলের পুত্র সুবীর শাসমলের বউভাতের অনুষ্ঠানে এমনই ব্যবস্থাপনা ছিল।